ক্রেডিট কার্ড(Credit Card) সংক্রান্ত ছোট অথচ অন্যায্য পরিমাণ ফি অনেকেই এড়িয়ে গিয়ে থাকেন। তবে এর থেকে অনেক বড় সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রাহকরা। ক্রেডিট কার্ডের এই সব ছোট ছোট পরিমাণ ফি যদি না ভরা হয়, তাহলে এর ওপর সংশ্লিষ্ট সংস্থা ইন্টারেস্ট যোগ করতে শুরু করে দেয়। এর জেরে গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর ‘খারাপ’ হয়ে যায়। তাহলে কী করা যায় সেই সব ক্ষেত্রে? ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত অন্যায্য সেই ফি কি তাহলে দিয়ে দেওয়া উচিত? ‘হ্যাঁ’। প্রাথমিক ভাবে ক্রেডিট কার্ডের(Credit Card) সেই সব অন্যায্য পরিমাণ মিটিয়েই দেওয়া উচিত বলে দাবি করা হয়েছে মিন্ট-এর রিপোর্টে। এবং এরপর সেই নিয়ে অভিযোগ জানানো উচিত। যদি তা না হয়, গ্রাহকের সিবিল স্কোর ‘খারাপ’ হয়ে যাবে। পরে সেই বকেয়া সংক্রান্ত সমস্যা মিটলেও তার প্রতিফলন থেকে যায় ক্রেডিট স্কোরে।
মুম্বইয়ের যতীন কাহাতের সঙ্গে এমনটাই হয়েছিল। ২০২৩ সালে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছিল যতীনকে। পরে যতীন ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক ফি মুকুবের দাবি জানান। কারণ তিনি সেই মুকুবের জন্যে যোগ্য ছিলেন। তবে ব্যাঙ্ক তাঁর দাবি মেনে নেয়নি। এদিকে যেহেতু তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি তো ফি মুকুবের জন্যে যোগ্য, তিনি বার্ষিক ফি জমা দেননি। এর জেরে যতীনের ক্রেডিট স্কোর ৮০০ থেকে নেমে ৬৮৫ হয়ে যায়। এরপর যতীন সেই ফি মিটিয়ে দেন। ৪ মাস পরে ব্যাঙ্ক নিজের ভুল স্বীকার করে এবং যতীনকে সেই ফি ফিরিয়ে দেয়। তবে যতীনের ক্রেডিট স্কোরে তাতে কোনও উন্নতি হয়নি।
এই আবহে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সমস্যা থাকলে কী কী করতে পারেন গ্রাহক? প্রথমে ইমেল মারফত নিজের ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ জানান। যদি তাতে কোনও সুরাহা না হয়, তাহলে নোডাল অফিসারকে বিষয়টি জানান। এরপরও যদি কোনও সমাধান সূত্র না বেরিয়ে আসে, তাহলে ব্যাঙ্কের শীর্ষস্থানীয় কর্তাকে (জোনাল হেড বা কান্ট্রি হেড) বিষয়টি রিপোর্ট করুন। যদি এই তিনটি কাজ করেও কোনও লাভ না হয়ে থাকে, তাহলে আরবিআই-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে অম্বুডসম্যানের কাছে অভিযোগ জানান। একমাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তবে এর মাঝে কিছু কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। সমস্যা যেটাই হোক, ব্যাঙ্কের দাবি অনুযায়ী আগে বকেয়া মিটিয়ে দিন। এরই সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে নিজের অভিযোগ জানান উপযুক্ত স্থানে। ব্যাঙ্ককে আপনার অভিযোগ নিরসনে একমাস সময় দিন। তার আগেই আরবিআই অম্বুডসম্যানকে অভিযোগ জানালে তিনি তা গ্রহণ নাও করতে পারেন। রিফান্ড, ডুপ্লিকেট বিলিং থেকে মিস-সেলিং, সব ধরনের অভিযোগই জানানো যায় অম্বুডসম্যানের কাছে। এদিকে যদি ভুল কারণে আপনার সিবিল স্কোর খারাপ হয়ে যায়, সমস্যা মেটার পর ব্যাঙ্ককে তা ঠিক করত বলুন। এছাড়াও অসুবিধার জন্যে ব্যাঙ্কের থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণও দাবি করা যেতে পারে এই সব ক্ষেত্রে।