চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল ২০২৫ মরশুমে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু নিরাশ করলেন ব্যাটার হিসেবে ধোনি। মাত্র ১ রান (৪ বলে) করে ফিরতে হল সাজঘরে। সুনীল নারিনের স্পিনের জালে ধরা পড়লেন মাহি। বরাবরই নারিনকে খেলতে সমস্যা হয় ধোনির। এদিনও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। নারিনকে খেলতে গিয়েই ল্যাজেগোবরে হয়ে সাজঘরে ফিরলেন মাহি। তবে তাঁর আউট নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নেটপাড়ায় চলছে বিতর্কও।
ধোনি কি আউট ছিলেন?
শুক্রবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৭২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস যখন কাঁপছে, সেই সময়ে ক্রিজে আসেন ধোনি। তখন চিদম্বরম স্টেডিয়ামে শুধুই ‘ধোনি ধোনি’ শব্দব্রহ্ম। সিএসকে ভক্তরা আশা করেছিলেন, তাঁদের আদরের থালা এবার ম্যাচের রং বদলে দেবেন। কিন্তু কোথায় কী! আরও একবার দলের প্রয়োজনের সময়ে নিরাশ করলেন মাহি। তাঁর ব্যাটে সত্যিই একেবারেই মরচে ধরে গিয়েছে!
১৫.৩ ওভারে সুনীল নারিনের বলটি মিস করেন ধোনি। ব্যাটের কাছ দিয়ে বল বেরিয়ে গিয়ে প্যাডে লাগে। কেকেআর আউটের জোরালো দাবি করলে, আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। কিন্তু ধোনি দাবি করেন, বল আগে ব্যাটে লেগেছে। ব্যাট দেখিয়ে তিনি রিভিউ নেন। বহুক্ষণ ধরে টিভি আম্পায়ার আল্ট্রাএজে দেখে বোঝার চেষ্টা করেন, আদৌ বল আগে ধোনির ব্যাটে লেগেছে কিনা! বল ব্যাটের কাছে দিয়ে যাওয়ার সময়ে হালকা স্পাইক ধরা পড়েছিল, তবে ব্যাট এবং বলের মধ্যে গ্যাপটা পরিষ্কার ছিল দাবিতে আউট দেওয়া হয় ধোনিকে। তবে আল্ট্রাএজে স্পাইক ধরা পড়ায় ধোনির আউট নিয়ে নেটপাড়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
নারিনকে খেলতে ধোনির সমস্যাও হয়। তিনি ৯২টি বল নারিনের ফেস করেছেন টি২০-তে। করেছেন মাত্র ৪৮ রান। ৩ বার আউট হয়েছেন। মেরেছেন মাত্র ২টি চার। ছক্কা মারতে পারেননি। নারিনের বিরুদ্ধে তাঁর স্ট্রাইকরেট ৫২.১৭।