রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) অধিনায়কত্বের ভবিষ্যৎ কী? আগামিদিনে তিনিই কি অধিনায়ক থাকবেন? সেইসব বিষয় নির্ভর করতে পারে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের ফলাফলের উপরে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগামী ৯ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের যে ফলাফল হবে, সেটার উপর ভিত্তি করে ২০২৭ সালের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং চতুর্থ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি করা হতে পারে। সেইসঙ্গে রোহিত অধিনায়ক থাকবেন কিনা, সেই বিষয়টা নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা আছে। ভারতীয় বোর্ড আগামী দু’বছরের জন্য স্থায়ী অধিনায়ক চাইছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এখনও ক্রিকেট অবশিষ্ট আছে, মনে করেন রোহিত
ভারতীয় বোর্ডের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রোহিত বিশ্বাস করে যে ওর মধ্যে এখনও ক্রিকেট অবশিষ্ট আছে। আগামিদিনে ওর কী পরিকল্পনা আছে, সে বিষয়ে ওকে জানাতে বলা হয়েছে। অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তটা একান্তভাবে ওর। কিন্তু অধিনায়কত্ব নিয়েও আলোচনা করতে হবে। রোহিত নিজেও জানে যে আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য ভারতীয় দলের একজন স্থায়ী অধিনায়কের দরকার আছে। (বিরাট) কোহলির সঙ্গেও কথা হয়েছে। কিন্তু ওকে নিয়ে কোনও উদ্বেগ নেই।’
২ বিশ্বকাপে রোহিতের দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব ভুলছে না বোর্ড!
আর রোহিতের ক্ষেত্রেও খুব তাড়াহুড়ো কিছু করা হবে না বলে ওই মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। লাল বলে যাই হোক না কেন, রোহিতের অধিনায়কত্বে ভারত যে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ এবং ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছিল, সেটা মোটেও ভুলে যায়নি বোর্ড। রোহিতের অধিনায়কত্বেই আইসিসি ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে ১১ বছরের যে খরা ছিল, সেটা কেটেছে। তাই রোহিতকে পূর্ণ সম্মান দেখিয়েই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে ওই মহলের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের সূত্র বলেছেন যে ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে রোহিতের কী সিদ্ধান্ত হয়, সেটা জানতে অপেক্ষা করবে বোর্ড। যদি ও অবসর নেয়, তাহলে বোর্ড বিবেচনা করে দেখবে যে কী পদক্ষেপ করা উচিত। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে যে গত বছর জুলাইয়ে ও ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছিল। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভালো অধিনায়কত্ব করছে।’
ধোনি, কোহলির থেকে পরিস্থিতি এখন আলাদা!
এমনিতে রোহিতের আগে একদিনের ক্রিকেটে ভারতে যে দুই স্থায়ী অধিনায়ক ছিলেন, তাঁরা দু’জনেই বিশ্বকাপের মোটামুটি দু’বছর আগে দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। ২০১৯ সালের একদিনের বিশ্বকাপ খেলার দু’বছর আগে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর বিরাট অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন ২০২১ সালে। ফলে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের আগে দু’বছর পেয়েছিলেন রোহিত।
কিন্তু এখন পরিস্থিতিটা অন্য। একদিনের ক্রিকেটে রোহিতের যে ডেপুটি, সেই শুভমন গিল একেবারেই নতুন। সবে শিখছেন। অভিজ্ঞতা কম। আর যে ব্যক্তিকে চোখ-কান বুজে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড তুলে দেওয়া যায়, সেই জসপ্রীত বুমরাহের ফিটনেস নিয়ে একটা উদ্বেগ থেকেই যায়। ভালো সম্পদকে যেমন সংরক্ষণ করে রাখা হয়, তেমনভাবেই তাঁকে হয়তো সব ম্যাচে খেলানো হবে না। সেই পরিস্থতিতে অধিনায়কত্ব নিয়ে বোর্ড তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষপাতী নয় বলে ওই মহলের ধারণা।