Cyclone Dana। কালীপুজোর মুখে আরেক দফা দুর্যোগের আশঙ্কায় দক্ষিণবঙ্গ

Spread the love

আগামী সপ্তাহেই কি ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। তেমন সম্ভাবনা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। ২৩ অক্টোবর পূর্ব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল। সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে পশ্চিমবঙ্গে সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। কয়েকটি আবহাওয়া মডেলে সরাসরি পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলে ঝড়টি আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাসে দাবি করা হয়েছে। তেমনটা হলে কালীপুজোর আগে দক্ষিণবঙ্গে আরেক দফা দুর্যোগ অবধারিত। নতুন করে ভাসতে পারে দামোদর উপত্যকার প্লাবিত এলাকাগুলি।

পূর্বাভাস বলছে, আগামী ২০ অক্টোবর আন্দামান সাগরে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। তা ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঝড়টি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে অন্ধ্র – ওড়িশা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের মধ্যে কোনও জায়গায় স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়টি ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘দানা’।

মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহারের পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার ইতিহাস বেশ বিরল। তবে সাম্প্রতিক আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে কোনও কিছুকেই অসম্ভব বলে মনে করছেন না আবহাওয়াবিদরা।

এখনও ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও ক্ষমতা নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। অনুমান সত্যি হলে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিসহ দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। দক্ষিণবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের মালভূমিতে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে কালীপুজো ও দীপাবলির প্রস্তুতিতে।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে তার গতি ও সম্ভাব্য শক্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *