বাজেটে মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) বাড়ানো হয়েছে। তবে যে পরিমাণ ডিএ বাড়ানো হয়েছে, তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আর বাজেটের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিলেন যে মহার্ঘ ভাতার ‘সবটাই ক্লিয়ার’ করে দেবেন। তবে একলপ্তে সেটা হবে না। হাতে যেমন অর্থ থাকবে, সেইমতো ধাপে-ধাপে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার বাজেট পেশের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আরও চার শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে। পে কমিশনের (বেতন কমিশন) অনুমোদন, পে কমিশনের টাকা-সহ এই ডিএটা দেওয়া হচ্ছে (কিন্তু)। অর্থাৎ অনেকটাই বেড়ে গেল। ভবিষ্যতে তাঁরা আরও পাবেন যখন সময় হবে। আমরা টাইম-টু-টাইম….আমরা সবটাই ক্লিয়ার করব। এরকম নয় যে একদিনেই সবটা হতে পারে। কারণ আমরা পে কমিশন করেছিলাম।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘পে কমিশনের (বেতন কমিশন) অ্যাডভান্টেজ অনেকটাই পান তাঁরা (রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা)’। কেন্দ্রীয় সরকারের এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সার্ভিস রুল আলাদা। কেন্দ্রের ওরকমভাবে পে কমিশন নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আছে। রাজ্য সরকারের পে কমিশনের টাকাটাও দিই। সুতরাং সবটা মিলিয়ে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা (রাজ্য সরকারি কর্মচারী) খুশি হলে আমিও খুশি হব। বাকি টাকাটা ধাপে-ধাপে (দেওয়া হবে), যখন আমাদের টাকার সংকুলান হবে। এত প্রকল্প চালাচ্ছি।’ সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকার যে সব সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প চালাচ্ছে, তাতে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে প্রচুর অর্থ বেরিয়ে যায়।
যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সেই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা নির্ঝর কুণ্ডু বলেন, ‘আপনি (মুখ্যমন্ত্রী) বকেয়া ডিএ দেবেন না। কিন্তু কর্মচারীরা তাঁদের অধিকার ছিনিয়ে নেবেন। সরকারকে চ্যালেঞ্জ থাকল কর্মচারীদের পক্ষ থেকে।’