Debangshu on Dilip’s Marriage। ‘নতুন বৌদি হাত থেকে তরোয়াল কেড়ে নিয়ে গোলাপ তুলে দিক’

Spread the love

দিলীপ ঘোষ নাকি বিয়ে করছেন? বৃহস্পতিবার দুপুর-বিকেল থেকেই একটি মহলে এমনই চাউর হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি নিজে কিছু না জানালেও অনেকেই তাঁকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। সেই তালিকায় যুক্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলীপকে ট্যাগ করে তৃণমূল নেতা বললেন, ‘অনেক অভিনন্দন দিলীপ ঘোষ দা। মন থেকে খুশি হয়েছি। খুব ভালো হোক। নতুন বৌদি আপনার হাত থেকে তরোয়াল কেড়ে নিয়ে গোলাপ তুলে দিক। ভালো থাকুন দু’জনে। আবারও অভিনন্দন জানাই।’

‘পাত্র’ দিলীপ এবং পাত্রীর চারহাত নাকি এক হবে শুক্রবার

দেবাংশুর উত্তরের পালটা অবশ্য দিলীপ আপাতত কিছু বলেননি। তবে সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ৬০ বছর পূর্ণ করা দিলীপ নাকি শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। বাড়িতে একেবারে ছোট করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘পাত্র’ দিলীপ এবং পাত্রীর পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবরা সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ইডেনে ‘পাকা কথা’ দিলীপের?

কিন্তু পাত্রী কে? কার সঙ্গে দিলীপের বিয়ের কথা শোনা যাচ্ছে? ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাত্রী নাকি দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি নেত্রী। সল্টলেকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। তাঁর এক পুত্রসন্তানও আছে। তাঁদের সঙ্গে দিনকয়েক আগে ইডেন গার্ডেন্সে বসে দিলীপ নাকি কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ম্যাচও দেখেছিলেন। আর সেখানেই ‘পাকা কথা’ হয়েছিল বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

যদিও বিয়ের কথাবার্তা নাকি অনেকদিন ধরেই চলছিল। দিলীপের ঘনিষ্ঠমহলের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে হারের পরে মন ভালো যাচ্ছিল না দিলীপের। তারপর দিলীপের সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটানোর প্রস্তাব দেন ‘পাত্রী’ বিজেপি নেত্রী। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অবশ্য প্রাথমিকভাবে কিছুটা দোটানোয় ছিলেন। আগামী বছর হাইপ্রোফাইল বিধানসভা নির্বাচনও আছে। তবে অনেক আলোচনার পরে দিলীপ শেষপর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়ার বিষয়ে রাজি হয়েছেন।

দিলীপের বিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল?

কিন্তু দিলীপের বিয়ে রোখার জন্য নাকি সংঘ পরিবারের তরফেও তৎপরতা শুরু হয়েছিল বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিলীপের বিয়ে রুখতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান সংঘ পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিজেপি নেতা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। যেন বার্তাটা ছিল, ‘একবার জো ম্যাঁয়নে কমিটমেন্ট কর দি, উসকে বাদ তো ম্যাঁয় খুদ কি ভি নেহি সুনতা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *