দিল্লির রোহিনীতে একটি সিআরপিএফ স্কুলের কাছে রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও তাতে হতাহতের কোনও খবর নেই, তবে রাজধানীর বুকে এমন বিস্ফোরণ ঘিরে স্বভাবতই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিস্ফোরণে প্রচণ্ড জোরে কেঁপে ওঠে চারিদিক। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে, একাধিক এজেন্সি ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
দিল্লির রোহিনী এলাকার সেক্টর ১৪তে রবিবার সকাল ৭.৫০ মিনিট নাগাদ এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তদন্তে, দিল্লি পুলিশ, এনআইএ, এনএসজি নেমেছে। তবে ফরেন্সিকের নজরে এক রহস্যময় সাদা পাউডার। যে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে। সেই পাউডার পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটারিতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থলের মাটিও সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
এদিকে, পুলিশ নজর রেখেছে মোবাইলের নেটওয়ার্কের ডেটার উপর। মোবাইলের নেটওয়ার্কের ডেটার ভিত্তিতে পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে সেখানে ঘটনার আগে পরে কে কে উপস্থিত ছিল। পুলিশ জানাচ্ছে, এই বিস্ফোরণে স্কুলের দেওয়াল, পাশের একটি দোকান, এবং একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে তাজা বোমা দিয়েই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে প্রশ্ন রয়েছে, কে বা কারা এই ধরনের কাজ করবে? এর নেপথ্যে কে থাকতে পারে? এদিকে, ময়দানে নেমেছে এনএসজি। এনএসজি কমান্ডোরা সেখানে রোবোট স্ক্যান শুরু করে দিয়েছে। রোবট দিয়ে সেখানে এলাকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে, বিস্ফোরণের আর কোনও সামগ্রী সেখানে পাওয়া যায় কিনা।
পুলিশ জানিয়েছে, গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ, এনএসজি, এনআইএ। দিল্লি পুলিশ রয়েছে হাই অ্যালার্টে। উৎসবের মরশুমে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, দেশের একের পর এক এয়ারলাইন্সে ক্রমাগত বোমা হামলার হুমকি আসছে। আজও ইন্ডিগোর ৬ বিমানে ১২ জন বম্বার রাখার হুমকি দিয়ে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে হুমকি আসে। সেই জায়গা থেকে দিল্লির এই বিস্ফোরণ বেশ কিছুটা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।