দিলীপ ঘোষের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফেসবুকে শুরু হয়েছে ‘সিঙ্গলদের মর্নিংওয়াক’ নিয়ে একটি ইভেন্টের প্রচার। বহু মানুষই মজা করে সেই ইভেন্টে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিগত এতবছর ধরে নিউটাউনের ইকোপার্কে দিলীপ ঘোষের মর্নিংওয়াকের ‘অনুপ্রেরণাতেই’ সেই ইভেন্টের ভাবনা। এদিকে গতকাল বিয়ে হওয়ার পর আজও সকাল সকাল নিয়ম মেনে মর্নিংওয়াক করতে পৌঁছে গেলেন দিলীপ ঘোষ। তবে আজকের দিনটা আবার তাঁর জন্যে ‘স্পেশাল’। আজ দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। এই আবহে আজ ক্যালোরি ঝরানোর পাশাপাশি কেকও খেলেন তিনি।
এদিকে আগে থেকেই ঠিক ছিল, আজ প্রায় ১৫০ জনকে ইকোপার্কে ইডলি খাওয়াবেন দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। সেই মতো ইডলি এবং চাটনির ডাব্বাও হাজির হয়েছিল ইকোপার্কে। অন্তত তিনটি কেক কেটে সেখানে আগত ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন দিলীপ ঘোষ। তবে তিনি যে বিয়ের পরে বদলাননি তার প্রমাণও দিলেন। প্রতিদিনের মতো আজও রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দিলীপ ঘোষ। এবং সেই সময় তাঁর মেজাজও ছিল আগের মতোই আক্রমণাত্মক। এদিকে আজ বিকেলে স্ত্রী রিঙ্কুকে নিয়ে খড়গপুরে যাওয়ার কথা দিলীপ ঘোষের।
প্রসঙ্গত, এই ইকোপার্কে মর্নিংওয়াকের সময়ই রিঙ্কুর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল দিলীপ ঘোষের। এরপর নাকি বিয়ের প্রস্তাবটা আসে রিঙ্কুর তরফ থেকেই। প্রথমটা মত না থাকলেও পরে মায়ের কথায় রাজি হন দিলীপ। এদিকে রিঙ্কুকে রাজনীতিতে এনেছিলেন দিলীপই। নিউটাউনের মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু। এদিকে বিয়ের পর দিলীপ ঘোষ নিদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে অকপটে বলেন, ‘উনি সংসার সামলেছেন। অভিজ্ঞতা আছে। দু’জনেরই রাজনৈতিক জীবন থাকবে। তার সঙ্গেই আমরা পারিবারিক জীবন কাটাব। আমার মা খুব খুশি। মায়ের কথাতেই বিয়েটা হচ্ছে। উনি গিয়ে রিঙ্কুর বাড়িতে থেকে এসেছেন। আমি না থাকতে আমার মাকে রান্নাবান্না করে খাইয়েছে রিঙ্কু। ফলে অ্যাডজাস্টমেন্ট অনেকটা হয়েই গিয়েছে। বাকিটা ভগবানের ইচ্ছা।’