মাত্র আট মাস হয়েছে বিয়ের।আর এই কটা মাসের মধ্যে কি এমন হল যার কারণে নিখোঁজ হতে হল দীপায়নকে? উঠছে প্রশ্ন। তমলুকে এসবিআই ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার দীপায়ন পাল(Dipayan Pal)। জানা যায়, মাঝে মাঝে নববধূর সাথে ঝগড়া লাগত, যার কারণে মনমরা করে থাকতেন তিনি। এও জানা যায়, বাইক চালাতে খুব ভালোবাসতেন দীপায়ন।তার কেনা নতুন বাইক নিয়ে লং ড্রাইভও করতেন সে। কিন্তু হঠাৎ ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে গেলেন তিনি। মোবাইল সুইচ অফ। কি এমন ঘটেছে যার কারণে নিখোঁজ হয়ে আছেন গত একমাস ধরে।পুলিশে খবর দিলেও কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না তার। এদিকে চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন নিরীহ বাবা মা। কি দোষ তাদের? ছেলের এমন ভুল সিদ্ধান্তে কেন ভুগতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি চিন্তায় আছেন তার নববধূ মৌমিতা।
সূত্রের খবর, গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি বাইকে চেপে অফিসে বেরিয়েছিলেন। শেষবার তাকে বাইক নিয়ে দেখা যায় এসবিআই এর নিমতৌরা শাখায়।
তারপর তার এবং বাইকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। দীপায়ন পাল ডোমজুড়ের শলপ পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা, কর্মসূত্রে থাকতেন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে।
পরিবারের লোক বারবার ফোন করলেও ফোন সুইচ বন্ধ ছিল। দীপায়নের স্ত্রী মৌমিতা ঘোষ পাল খবর পেয়ে তমলুকে যান এবং তমলুক থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও দীপায়নের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।দীপায়নের বাবা এবং মা জানিয়েছেন তাদের বড় ছেলে কর্মসূত্রে আমেরিকায় থাকেন। নাতির জন্মদিন উপলক্ষে তারা দুজনে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। সেখানেই তারা খবর পান ছোট ছেলে দীপায়ন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়।
তারা জানিয়েছেন আট মাস আগে তার ছোট ছেলের বিয়ে হলেও স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক মোটের উপর ভালো ছিল। তবে মাঝে মাঝে দুজনের মধ্যে ঝামেলা হতো। আর ঝামেলা হলে দীপায়ন অবসাদে ভুগত। এছাড়া সে বেশি মানসিক চাপ সহ্য করতে পারতেন না। এই নিয়ে তাদের মাঝে মাঝে বলতো। তার মা তাকে এ ব্যাপারে কাউন্সিলিং এর পরামর্শ দেন। তবে ঘটনার দিন ঠিক কি হয়েছিল সে সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই।
বিদেশে থেকে খবর পেয়ে তারা ছুটে আসেন। তার বাবা রঞ্জন পাল বলেন তার ছেলেকে কেউ তুলে নিয়ে যেতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনও মুক্তিপণ চেয়ে কোন ফোন আসেনি। খোঁজ করছে পুলিশও। ছোট ছেলে কখন বাড়ি ফিরবে তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বাবা মা। ছেলের আশার একটু একটু করে ভেঙে পড়ছেন তারা।