গতরাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্যকে। ইউরিনে কিটোনের মাত্রা বেড়ে বমি বমি ভাবে ভুগছিলেন পুলস্ত্য। একই সঙ্গে পেটে ব্যথা ছিল তাঁর। এই আবহে অনশন মঞ্চেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না বলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুলস্ত্যকে হাসপাতালে ভরতি করার পর ভোররাত নাগাদ তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জয়দীপ দেব। তিনি জানান, অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্যের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। তবে এখন তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
এনআরএস-এর চিকিৎসক ডঃ জয়দীপ দেব এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলস্ত্য আচার্য সাত দিন ধরে অনশনে ছিলেন। টানা অনশনে থাকার ফলে তাঁর মানসিক সচেতনতা কমে যায়। তাঁর অবচেতন হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে না খাওয়ার কারণে তাঁর পেটে ব্যথা হয়। সময় মতো তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও এখনও পরিস্থিতি সঙ্কটমুক্ত নয়।’
এরপর জয়দীপ বাবু আরও বলেন, ‘পুলস্ত্যর সোডিয়াম, পটাশিয়াম পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে তাঁর শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যাসিড বেসের মাত্রার পরিবর্তন হওয়ার ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার জন্য মূলত এই সমস্যাগুলি হয়েছে। তাঁর এখন চিকিৎসা চলছে।’ পুলস্ত্যের চিকিৎসার জন্য এনআরএসে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান ডঃ জয়দীপ দেব। সেই দলে আছেন জেনারেল মেডিসিন, চেস্ট, কার্ডিও, নেফ্রো এবং অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞেরা। জয়দীপ দেব বলেন, ‘এখনও পুলস্ত্যর চিকিৎসা চলছে। আরও নানা রকমের পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। শরীরে জলশূন্যতা রয়েছে। তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও বিপদ কাটেনি।’