ডোনাল্ড ট্রাম্পের(Donald Trump) শুল্ক ‘রোলারকোস্টারে’ চেপে শেয়ার বাজারে কখনও নামছে ধস, কখনও বা ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সূচক। এরই মাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বলে দিলেন যে তিনি তাঁর শুল্ক নীতিতে বিরতি দেবেন না। তাঁর এই শুল্ক নীতির জেরে বিশ্বের বড় বড় শেয়ার বাজারে ধস নামে সোমবার। তবে সোমবার মার্কিন শেয়ার বাজারে লেনদেন শুরু হতেই দাবি করা হয়েছিল, ট্রাম্প নাকি ৯০ দিনের জন্যে তাঁর শুল্ক নীতি স্থগিত রাখতে পারেন। এরপর রকেট গতিতে ছুটেছিল ডাও জোন্স থেকে নাসডাক। তবে হোয়াইট হউজ জানিয়ে দেয়, তাদের শুল্ক বিলম্বের কোনও পরিকল্পনা নেই। এরপর ফের পড়ে যায় সূচক। তবে বাকি বিশ্বের মতো তত কোনও ধস নামেনি মার্কিন বাজারে। যদিও বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছেন ট্রাম্প। এরই মাঝে বেশ কয়েকটি দেশকে বাণিজ্য আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি মার্কিন অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য আলোচনায় বসতে পারেন। এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ন্যূনতম ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে সব দেশের পণ্যের ওপর। এবং এরপর পারস্পরিক শুল্ক কার্যকর করা হবে বুধবার থেকে। এদিকে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁর অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় শুল্ক খুবই স্থানে আছে। তবে এরই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব দেশের সঙ্গে ন্যায্য এবং ভালো চুক্তি করতে ইচ্ছুক’। এদিকে বাণিজ্য চুক্তি করলেও দেশগুলি ১০ শতাংশ শুল্কের স্ল্যাবের নীচে নামতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নে ট্রাম্প ঘুরিয়ে বলেন, ‘শুল্ক এই দেশকে অনেক ধনী করে তুলবে।’
এদিকে ট্রাম্প বলেন, ‘বাণিজ্যিক ভাবে আমেরিকার ক্ষতি করতে গঠন করা হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি আছে। এই ঘাটতি শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।’ এদিকে শুল্ক নিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে চিন সিদ্ধান্ত না নিলে বেজিং-এর উপরে আরও ৫০% শুল্ক বসানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই আবহে সব মিলিয়ে চিনা পণ্যে তার হার দাঁড়াবে ১০৪ শতাংশ। এই আবহে আবার বেজিংয়ের বক্তব্য, ‘ভুলের উপর ভুল করছে আমেরিকা। আরও এক বার আমেরিকার ব্ল্যাকমেল করার চরিত্রটি প্রকাশ্যে চলে এল।’ চিনের সাফ কথা, ‘যদি আমেরিকা এই ভাবেই চলার কথা ভাবে, তবে চিনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।’