Dream job in Google। মাটির বাড়ি থেকে গুগলে দুই কোটির চাকরি

Spread the love

মাটির বাড়িতে থাকতেন, পড়াশোনায় অবহেলা করেননি, জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, পূরণ হল এবার। জামুইর বাসিন্দা অভিষেক কুমারের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে।বিহার তথা সারা দেশের মানুষ আজকাল তাঁকে নিয়ে আলোচনা করছেন।শুধুমাত্র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেই গুগলে চাকরি পেয়েছেন অভিষেক। বার্ষিক ২ কোটি টাকা করে মাইনে। শীঘ্রই গুগলের লন্ডন অফিসে যোগ দেবেন তিনি।

অভিষেকের সাফল্যের কারণ কী

অভিষেক কুমার জামুই জেলার জামু খারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিষেকের বাবা ইন্দ্রদেব যাদব জামুই সিভিল কোর্টের আইনজীবী। তাঁর মা মঞ্জু দেবী একজন গৃহিণী। গুগলের পথে অভিষেকের যাত্রা ছিল খুবই চমৎকার। বাড়িতে সব সময়ই শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হত। আর অভিষেকও এই অগ্রাধিকারকে কখনোই অবহেলা করেননি। অভিষেকও এটাকেই নিজের সাফল্যের কারণ হিসেবে মনে করেন। একটি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময়, অভিষেক বলেন, ‘এটি আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। গুগলে কাজ করা অনেক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের জন্য একটি স্বপ্ন এবং আমি এই সুযোগ পেয়ে খুব খুশি’।

আগে ১.০৮ কোটি টাকার প্যাকেজ পেতেন

অভিষেক কুমার জামুই থেকে তার প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন এবং পরে এনআইটি পাটনা থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। অভিষেক ২০২২ সালে অ্যামাজন কোম্পানির কাছ থেকে ১.০৮ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ পেতেন। তিনি ২০২৩ সাল পর্যন্ত অ্যামাজনেও কাজ করেন। এখন তিনি গুগলের লন্ডন অফিস থেকে ২ কোটি টাকার প্যাকেজ পেতে চলেছেন।

অভিষেকের কৃতিত্ব বাবামায়ের

অভিষেক আরও বলেন, তাঁর বাড়ি ছিল মাটির তৈরি, এখন টাকা পাওয়ার পরে আমি একটি নতুন বাড়ি তৈরি করছি। তাঁর মতো তরুণদেরও বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন- সবই সম্ভব। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যেখান থেকেই আসুন না কেন (ছোট শহর বা বড় শহর), যদি ইচ্ছা আর প্রচেষ্টা থাকে, তবে তিনি অনেক বড় কিছু অর্জন করতে পারবেন। অভিষেক নিজের কৃতিত্বের দিয়েছে পরিবারকেই। বলেন, ‘আমার বাবা-মা এবং ভাই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।’

গুগলে এইভাবে চাকরি পেয়েছেন অভিষেক

অভিষেকের সাফল্যের পথ সহজ ছিল না। গুগল ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তিনি অন্য একটি কোম্পানিতেও কাজ করছিলেন। অন্য জায়গায় কাজ করার সময়, ইন্টারভিউয়ের জন্য আরও প্রস্তুতি নেওয়া ছিল সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জ। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, আমি অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করতাম। বাকি সময়ে সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি নিতাম। আমি যতটুকু সময় পেয়েছি, কোডিং করার দক্ষতা বাড়িয়েছি। শেষ পর্যন্ত এইভাবেই তিনি গুগলের ইন্টারভিউ ক্র্যাক করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *