Driver of Bratya Basu। ‘ইঞ্জিনের উপর যিনি বসেছিলেন…’ 

Spread the love

যাদবপুরে গাড়ির নীচে এক ব্যক্তি। এসএফআইয়ের দাবি, ওই ছাত্র হলেন ইন্দ্রানুজ রায়(Indranuj Roy)। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি তাকে চাপা দিয়েছিল। দাবি তাদের। এনিয়ে নানা তরজা চলছে। তবে কী বলছেন সেই গাড়ির চালক?

আনন্দবাজার অনলাইনের ভিডিয়ো প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, রেহান মোল্লা ছিলেন সেদিন ব্রাত্য বসুর গাড়ির চালক হিসাবে।

এবার সেই চালক জানিয়েছেন, গোলোযোগ যখন শুরু হয় তখন আমি গাড়িতে বসা। স্যার দেখলাম গাড়িতে উঠল।এগোনর চেষ্টা করছি। বাধা সৃষ্টি করে। গাড়ি এগোতে দিচ্ছে না। যখন আমি জোরজবরদস্তি করলাম তখন ওরা ইট মেরে আমার সামনে গ্লাসটা ভেঙে দিল। কাঁচের টুকরো চোখ মুখ দিয়ে ভর্তি হয়ে গেল। যখন স্যারেরটা ভাঙল, লুকিং গ্লাস দিয়ে সব কিছু ভেঙে দিল, তখন আমি কী করব! তখন আমি গাড়িটাকে বের করার চেষ্টা করলাম। আস্তে আস্তে গাড়িটাকে বের করার চেষ্টা করছি। ইঞ্জিনের উপর যিনি বসেছিলেন, যখন আমি গাড়িটাকে থামাচ্ছি না ইট নিক্ষেপ করার চেষ্টা করল তখন আমি… ব্রেক মারলাম। উনি বাঁদিকে পড়ে গেলেন। তখন ডানদিক দিয়ে স্যারকে সেফটি বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করলাম।

ব্রেক কষেছিলেন? ভয় পেয়েছিলেন?

ভয়ের কোনও ব্যাপার নেই। আতঙ্কের ব্যাপার এটা। যেহেতু গ্লাসটা ভেঙে দিয়েছে। চোখে মুখে কাঁচ, সামনের কাঁচটা ভাঙা ছিল। অতটা দেখতে পারছিলাম না। সেই সময় স্পিড ছিল ১০,

অনেকে বলছে প্রায় ৫০-৬০ স্পিড ছিল…

‘ওখানে যদি ৫০-৬০ স্পিড থাকে, কখনও উঠবে না শয়ে শয়ে লোক রয়েছে, অসম্ভব, ভুল বলছে, যারা বলছে ভুল বলছে। এরপর স্যারকে নিয়ে পিজিতে নিয়ে এলাম। আমিও অসুস্থ ছিলাম। চোখে মুখে হালকা লেগেছিল….’

এমন ঘটনার মুখোমুখি এর আগে কোনওদিন হননি রেহান।

এবার জেনে নিন শিক্ষামন্ত্রী কী বলেছিলেন?
এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সংবাদমাধ্য়ম এবিপি আনন্দে মুখ খুলেছিলেন তিনি।

ব্রাত্য বসু একান্ত সাক্ষাৎকারে ওই সংবাদমাধ্যমে ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, খারাপ লাগছে। ওরা পাশাপাশি কি বলছেন অধ্য়াপকরাও মার খেলেন। তৃণমূলপন্থী অধ্য়াপক ওদের মারা যেতেই পারে তাই না! তৃণমূলের মন্ত্রী তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হতে পারে, সিকিউরিটিকে ধরে পেটানো হতে পারে, এতগুলো অধ্যাপক নিগ্রহের পরে গাড়ি ভাঙা যেতে পারে। শুধু আমার গাড়ি নয়। একাধিক গাড়ি ভাঙা হল। তৃণমূলের কর্মী সংগঠন তার অফিস ভাঙা যেতে পারে। এটা যদি কেউ বলে থাকেন তাদের সঙ্গে হলে কী করতেন তারা? তবে যারা করেছেন তারা কেউ সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের নয়। গত সপ্তাহে তারা পোস্টার দিয়েছে এসএফআইয়ের অবস্থা জঙ্গলমহলের মতো করে দেব। তাদের সঙ্গে এসব হলে কী করতেন!

যে ছাত্র জখম হলেন তাঁকে নিয়ে কী বলবেন?

ব্রাত্য বলেছিলেন, বললাম তো খারাপ লেগেছে। আমার গাড়ি, আমি তো মারিনি। চালক ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কম বয়সি ছেলে। ওকে যখন ঘুঁষি মারছে। সামনের কাঁচটা ভেঙে গায়ে পড়ছে, ওরও গায়ে পড়েছে, আমার গায়েও পড়েছে। আমাদের আহত হওয়াটা ঠিক আছে। কিন্তু ছাত্রের আহত হওয়াটা কাম্য ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *