ESI hospital fire। ESI হাসপাতালে আগুনের জেরেই দমবন্ধ হয়ে ক্যানসার রোগীর মৃত্যু

Spread the love

গত শুক্রবার শিয়ালদা ইএসআই(Esi) হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তাতে মৃত্যু হয়েছিল উত্তম বর্ধন নামে ক্যানসার আক্রান্ত এক রোগীর। পরিবারের অভিযোগ, ছিল অগ্নিকাণ্ডের জেরে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল উত্তম বর্ধনের। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগই সত্যি হল। উত্তম বর্ধনের দেহের প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে অগ্নিকাণ্ডের জেলে দমবন্ধ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

উত্তম বর্ধনের মৃত্যু নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। তার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই রিপোর্ট সামনে আসতেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন গাইঘাটার ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা উত্তমবর্ধন। শরীরে এই মারণ রোগ ধরা পড়তেই তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। তবে এভাবে যে তিনি শেষ হয়ে যাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি গোটা পরিবার।

মাসখানেক আগেই ভিন রাজ্য থেকে চিকিৎসা করিয়ে আসার পর শারীরিক অসুস্থতা আবারও বেড়ে যাওয়ায় বছর ৪৭ এর উত্তম বর্ধনের। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সামনেই চিকিৎসকদের তরফ থেকে ছুটি দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল পরিবারকে। তবে এদিনই যেন শেষ হয়ে গেল সবকিছু। বাড়িতে এসে পৌঁছয় চরম দুঃসংবাদ। ইএসআই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় উত্তম বর্ধনের। পরিবারের কাছে খবর আসতেই রীতিমতো শোকের ছায়া নামে গোটা এলাকায়।

জানা গিয়েছে, টিউবয়েলের বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। রয়েছে এক মেয়ে। এদিন সকালে হঠাৎই শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও মুহূর্তেই তা বিধ্বংসী আকার ধারণ করে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। পরে দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হাসপাতালে থাকা প্রায় ৮০ জন রোগীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও আরও দুজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় উত্তম বর্ধনের। এই ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। তবে কীভাবে এই আগুন লাগল তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তার তদন্ত করছে দমকল ও প্রশাসন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তোলেন রোগী পরিবারের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *