France beat Belgium: আত্মঘাতী গোল ২-১ ফ্রান্স!

Spread the love

ইউরোর ‘সর্বোচ্চ গোলদাতা’-র সুবাদে কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। ৮৫ মিনিটে বেলজিয়ামের আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্স ইউরোর কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে গিয়েছে। আর সেটার পরে মজা করে ফুটবল ভক্তরা বলতে শুরু করেছেন, ফ্রান্স এবার কী এমন করে এসেছিল যে আত্মঘাতী গোলই হয়ে যাচ্ছে তাদের ম্যাচে। কারণ এবার ইউরোয় এখনও পর্যন্ত যে ন’টি আত্মঘাতী গোল হয়েছে, তার মধ্যে দুটি গোলে ফ্রান্সের ভাগ্য ফিরে গিয়েছে। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্স যে ১-০ গোলে জিতেছিল, সেটা এসেছিল আত্মঘাতী গোল থেকেই। আজ কোয়ার্টারেও তাই হল। আসলে এবার ইউরোয় ফ্রান্সের নামে তিনটি গোল থাকলেও একটি মাত্র গোল করেছেন কোনও ফরাসি খেলোয়াড়। প্রথম ম্যাচে সেই গোলটা করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তাও সেটা পেনাল্টি থেকে। যদিও সেটা নিয়ে ফ্রান্সের কোনও অভিযোগ নিশ্চয়ই থাকবে না।

দ্বিতীয়ার্ধে কেমন হল ম্যাচ?

প্রথমার্ধ যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হয়। ফ্রান্সের কিছুটা বেশি দাপট ছিল। কিন্তু সেই দাপট এমন ছিল না যে বেলজিয়াম থরথর করে কাঁপছিল। বরং বেলজিয়ামের ডিফেন্স মজবুতই ছিল। সেই ডিফেন্সে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছিল ফ্রান্স। শেষপর্যন্ত ৮৫ মিনিটে বলটা বেলজিয়ামের জালে জড়িয়ে যায়। বেলজিয়ামের ভাগ্য চূড়ান্ত খারাপ ছিল যে কার্যত একটা নির্বিষ শট থেকে আত্মঘাতী গোল হজম করতে হয়।

কোলো মুয়ানির নির্বিষ শটটা ইয়ান ভের্টোনেনের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে বেলজিয়ামের জালে জড়িয়ে যায়। বেলজিয়ামের গোলকিপার কাসটিলসের কিছু করারই ছিল। তিনি প্রাথমিকভাবে যেদিকে ঝাঁপিয়েছিলেন, তার উলটো দিকে বলটা যায়। সেটাই শেষপর্যন্ত ফারাক গড়ে দেয়। 

সেই আত্মঘাতী গোলের দু’মিনিট আগে কাউন্টারে গিয়ে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন কেভিন দ্য ব্রুইন। কিন্তু সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন। আর তারপর মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। সেটাই যেন এবার ইউরোয় বেলজিয়ামের পারফরম্যান্সের ‘পারফেক্ট’ ছবি হয়ে দাঁড়াল। কারণ এবার একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি বেলজিয়াম। গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে প্রি-কোয়ার্টারেই ফ্রান্সের মুখে পড়তে হয়।

কোয়ার্টারে কার বিরুদ্ধে খেলবে ফ্রান্স?

এমনিতে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়াম-ফ্রান্স ম্যাচটা একেবারেই আহামরি হয়নি। তবে নক-আউট পর্যায়ে এরকম ম্যাচ হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফলে তেকাঠিতে মাত্র দুটি শট রেখে কোয়ার্টার পৌঁছে গেলেও ফ্রান্সের কোনও আক্ষেপ থাকার কথা নয়। 

আপাতত কোয়ার্টার-ফাইনালে কাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে, সেটার অপেক্ষায় আছেন এমবাপেরা। পর্তুগাল এবং স্লোভেনিয়ার মধ্যে যে দল জিতবে, সেই দলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টারে নামবে ফ্রান্স। যদি পর্তুগাল জেতে, তাহলে কোয়ার্টারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বনাম এমবাপের মহারণ হবে।

প্রথমার্ধে কেমন খেলা হয়েছে?

প্রথম ৪৫ মিনিটে ম্যাচের উপর ফ্রান্সের কিছুটা বেশি আধিপত্য থাকলেও ফাইনাল থার্ডে গিয়ে বেলজিয়ামকে সেভাবে চাপে ফেলতে পারেনি। এমবাপেরা বেলজিয়ামের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়লেও ‘ফাইনাল পাঞ্চ’-টা দিতে পারছিলেন না। তারইমধ্যে ১৪ মিনিটে আন্তোনিও গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে একটি শট নিলেও সেটা তেকাঠিতে রাখতে পারেননি ফ্রান্সের অধিনায়ক। তিন মিনিট পরেই আরও একটি সুযোগ ফস্কায় ফ্রান্স। মার্কাস থুরামের হেডার লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়। জেরেমি ডকু কিছুটা চেষ্টা করলেও বেলজিয়াম সেরকম দাগ কাটতে পারেনি। ০-০ অবস্থায় শেষ হয় ‘বোরিং’ প্রথমার্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *