Gaganyaan Mission Latest Update। মে’তে ইতিহাস বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেনের

Spread the love

আগামী মাসেই মহাকাশে পাড়ি দেবেন শুভাংশু শুক্লা। অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অন্যতম সদস্য হিসেবে তিনি মহাকাশে রওনা দেবেন। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, প্রথম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাবেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন। আর রাকেশ শর্মার ঐতিহাসিক সফরের ৪০ বছর পরে প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে যাবেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ‘গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লা যে (আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে) পাড়ি দেবেন, সেটা নেহাত কোনও উড়ান নয়, বরং সেটা এই বার্তা দেবে যে মহাকাশ গবেষণার নয়া যুগে বুক ফুলিয়ে প্রবেশ করছে ভারত।’

নাসা ও অ্যাক্সিওম স্পেসে প্রশিক্ষণ সারছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন

আর সেই দিনটার জন্য গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং বেসরকারি মহাকাশ কেন্দ্র অ্যাক্সিওম স্পেসে প্রশিক্ষণ সারছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লা। স্পেসএক্স ক্রিউ ড্র্যাগন ক্যাপসুলে (স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেট) মহাকাশে পাড়ি দেবেন। ওই ক্যাপসুলে মোট চার মহাকাশচারী থাকবেন। যা আমেরিকার ফ্লোরিডার কেনেডি মহাকাশকেন্দ্র থেকে উড়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

গগনযান মিশনের আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে সেই মিশন

যে মিশনটা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাবেন, সেটার মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। মহাকাশযানে করে তিনি যে মহাশূন্যে পাড়ি দেবেন, তা বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির খাপ খাইয়ে নিতে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকার মতো বিষয়ের সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে উঠবেন। যা ভারতের গগনযান মিশনের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

মে থেকে জুলাইয়ে একগুচ্ছ মিশন ইসরোর

আর সেই গগনযান ছাড়াও শুক্রবার নয়াদিল্লির বৈঠকে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামিদিনে ইসরোর বিভিন্ন মিশনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ইসরোর যে বড়-বড় মিশন আছে, তার মধ্যে অন্যতম হল পিএসএলভি-সি৬১ মিশন। যে রকেটের পিঠে চাপিয়ে ইওএস-০৯ স্যাটেলাইট পাঠানো হবে।

ইসরোর চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, গগনযান মিশনের দিকে টেস্ট ভেহিকেল-ডি২ মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই মিশনের মাধ্যমে গগনযানের প্রস্তুতি ঝালাই করে নেওয়া হবে। ক্রিউ মডিউলকে কীভাবে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হবে, সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। আবার জুনে জিএসএলভি-এফ১৬ রকেটের পিঠে চাফিয়ে নিসার স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। জুলইয়ে আবার এলভিএম৩-এম৫ মিশন আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *