কোনও সরকারি কর্মী যদি বর্তমানে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় সুবিধা পেয়ে থাকেন, তাহলেও তিনি পঞ্চম ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। সম্প্রতি এমনই রায় দিলেন জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের বিচারপতি এমএ চৌধুরী। উল্লেখ্য, মামলাকারী সরকারি কর্মীর অভিযোগ ছিল, সপ্তম বেতন কমিশনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলেও তাঁকে পঞ্চম ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মামলাকারী সরকারি কর্মী ১৯৯২ সাল থেকে ভেহিকেল ইন্সপেক্টর পদে আছেন। তবে তাঁর অভিযোগ ছিল, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁর গ্রেড পে সংশোধন করা হয়নি। এদিকে তাঁর পদোন্নতির পরও তাঁর বেতনের গ্রেড বা পে স্কেল ঠিক করা হয়নি। এদিকে যে সরকারি সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, তাদের বক্তব্য, রাজ্য সিভিল সার্ভেন্টের থেকে পৃথক বিধিতে কাজ করতেন সেই কর্মী।
মামলাকারীর সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মীর বেতনের বিষয়টি সংস্থার আর্থিক হালের ওপর নির্ভর করবে। এদিকে সেই মামলাকারীর জন্য পেনশন পেমেন্ট অর্ডার জারি করা হয়। এই আবহে উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণে বলে, পেনশন পেমেন্ট অর্ডার শুধুমত্র সরকারি কর্মীদের জন্যেই ইস্যু করা হয়। তার মানে মামলাকারীও সরকারি কর্মী।
এই আবহে ২০১৩ সালের এক মামলার উদাহরণ টেনে এনে বিচারপতি বলেন, একবার যখন মামলাকারীকে সরকারি কর্মীর স্থানে বসানো হয়েছে, এরপর সুযোগ সুবিধা না দেওয়ার জন্যে বা পে স্কেল সংশোধন কা করার জন্যে তাঁর থেকে সরকারি কর্মীর তকমা ছিনিয়ে নেওয়া যায় না।
এই আবহে হাই কোর্ট বলে, যে সরকারি কর্মী পেনশন পাওয়ার যোগ্য, এবং বর্তমানে তিনি সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় বেতন ও ডিএ পাচ্ছেন, তিনি পঞ্চম এবং ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়ারও যোগ্য। এই আবহে মামলাকারীর সংস্থার আগের জারি করা নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন করে নির্দেশিকা জারি করতে বলা হয়েছে।