কবে উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হবে? বীরভূমে মুখ খুললেন উচ্চমাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া
‘উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা চলাকালীন একাধিক জেলাতে যাচ্ছি। কাল রাতে বীরভূমে এসেছি। বীরভূমে পরীক্ষা খুব ভালোভাবে হয়। গত তিনবছরে এখানে পরীক্ষাকেন্দ্রিক অপ্রীতিকর ঘটনা হয়নি। সাতটি কেন্দ্রে গিয়েছি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশ্ন নিয়ে কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। গতবারে ফিজিক্স প্রশ্ন কিছুটা শক্ত এসেছিল। এরকম একটা অভিযোগ হয়েছিল। এবার কোনও অভিযোগ নেই।
সোশ্য়াল মিডিয়ায়, কিছু মিডিয়ায় বলা হচ্ছে যে এবার অনুপস্থিতির হার অনেক বেশি। এটা নিয়ে বলা দরকার। বলা হচ্ছে যে ট্যাবের টাকা পাওয়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছে। কিন্তু পরীক্ষায় বসছে না। তবে আমরা বহু জেলায় ঘুরেছি। এই তথ্য় পুরো ভুল। বীরভূমে ৯৫.৫ শতাংশ উপস্থিত রয়েছে অনুপস্থিত মাত্র ৭৮৩। মাত্র ৪.৫ শতাংশ অনুপস্থিত। উপস্থিতির হার অত্যন্ত ভালো। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই খবর ছড়ানো হয়েছিল। ’
অনুপস্থিতি নিয়ে কী বললেন?
তিনি বলেন, যারা অনুপস্থিতি তাঁরা সামনে বছর বসতে পারেন। এরা কোনও দিন উচ্চমাধ্যমিক দেবেন না এমনটা নয়। উত্তর ২৪ পরগনায় অনুপস্থিতি মাত্র ১.৬৬ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে ১.৫ শতাংশ। অনুপস্থিতি অন্যান্যবারের তুলনায় কম রয়েছে। তবে কারণটা খোঁজা আমাদের দায়িত্বের মধ্য়ে পড়ে না। এবারে যারা পরীক্ষায় বসল না তাদের কাছে অপশন থাকবে। তারা আগের ব্যবস্থায় বা নতুন যে ব্যবস্থা আসছে তাতে পরীক্ষায় বসতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি তখনও কিন্তু অনেক অনুপস্থিত থাকত। কোনও একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে হয়তো
সেমেস্টার নিয়ে কী বললেন?
সেমেস্টার সিস্টেমে আমাদের দুবার পরীক্ষা চালাতে হবে। সব জেনে বুঝে এই সিস্টেমে এটা নেমেছি। এটা আধুনিক সিস্টেম। অন্যান্য রাজ্যও এই সিস্টেমে আসছে।
কবে বের হবে উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট?
মে মাসের মাঝামাঝি উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হবে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রেজাল্ট বের হবে। মাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হওয়ার সাতদিনের মধ্য়ে আমরা উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বের করতে পারব। গোটাটাই হবে অনলাইনে। পুরোটা ডিজিটাল সিস্টেম। রেজাল্ট দ্রুততার সঙ্গে ও নিখুঁত ব্যবস্থা করতে পারব।
মালদায় শিক্ষক নিগ্রহ প্রসঙ্গে
মালদায় কালিয়াচক ৩ ব্লকে ৫ মার্চ ঘটনাটি হয়েছে। চামাগ্রাম হাইস্কুলে। তিনটি স্কুলের সিট পড়েছিল। কিছু সংখ্যক ছাত্র একটা ভায়োলেন্স করেছে। ফ্রিস্কিং ছাড়া পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলেছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে যে স্কুলের ছাত্ররা এসব করেছে তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে সিসি ক্যামেরায়। তাদের স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। সেই পরীক্ষার্থীদের খাতা আলাদা করে প্যাক করতে বলা হয়েছে।
মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে কী বললেন?
পুলিশ নিয়ে ফ্রিস্কিং আমরা চাইছি না। মালদার ঘটনা একটু ব্যতিক্রমী। আমরা এই ধরনের হিংসা নিয়ে জিরো টলারেন্স। মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স গেজেট নেওয়া ও শিক্ষকদের নিগ্রহ করা এটা একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি নেবে সংসদ।