পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের ধরমপুর গ্রামে হিন্দু সন্ন্যাসীর ওপর হামলার অভিযোগ আনলেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। এই আবহে তিনি বাংলাদেশের চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর উদাহরণ টেনে আনেন। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত সন্ন্যাসীর নাম হিরন্ময় গোস্বামী মহারাজ। এহেন পরিস্থিতিতে হিরন্ময় মহারাজের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এই নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও জিহাদিদের দাপাদাপি বেড়েছে।
শুভেন্দু নিজের পোস্টে লেখেন, ‘ওপার প্রভু চিন্ময়, আর এপার প্রভু হিরন্ময়! বাংলাদেশের মতই পশ্চিমবঙ্গেও সনাতন ধর্মের মানুষের ধর্মাচরণের স্বাধীনতার অধিকার দিনকে দিন সঙ্কুচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ যেমন জিহাদিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে তেমনই পশ্চিমবঙ্গেও জিহাদিদের অবাধ বিচরণের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন মাননীয়া। তাই এদের দাপাদাপিতে হিন্দুরা ধর্মাচরণ, পুজো অর্চনা করতে বারংবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন, মন্দিরে/পুজোর প্যান্ডেলে হামলা হচ্ছে, হুমকির মুখে পড়ছেন আয়োজকরা, হিন্দুদের দোকানপাট ঘরবাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে লুঠপাট হচ্ছে, সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এবার নবতম সংযোজন হল – বাংলাদেশকে অনুকরণ করে পশ্চিমবঙ্গেও ধর্মগুরুদের আক্রমন করা।’
এরপর বিজেপি নেতা আরও লেখেন, ‘গতকাল (৩১ মার্চ) রাতে ১১টার সময় পুজনীয় হিরন্ময় গোস্বামী মহারাজের উপর হামলা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের ধরমপুর গ্রামে ভাগবত কথা হওয়ার পর প্রসাদ গ্রহণ করে উনি নিত্য দিনের মতো একটু বাইরে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দুজন দুষ্কৃতি মহারাজের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। গলায় দড়ি দিয়ে চেপে ধরে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ওনার জটা কেটে দেওয়া হয়। মহারাজ এখন ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
এরপর এই হামলার নিন্দা জানিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক লেখেন, ‘আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি যতো জলদি সম্ভব পুজনীয় হিরন্ময় গোস্বামী মহারাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। একপাশে ওপার বাংলায় বিনা অপরাধে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে চারমাস ধরে ইউনুস সরকার জেলের মধ্যে মিথ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বন্দি করে রেখেছে, আর এপার বাংলায় সন্ন্যাসীদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা হচ্ছে। যাহা ইউনুস, তাহাই মমতা।’