২৬ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি বন্ধক রেখে এভারেস্ট অভিযানে গেলেন এক শিক্ষিকা।আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। শুধু বাড়ি বন্ধকই নয়,এর আগেও ঋণ নিয়ে এভারেস্ট জয় করতে যান কুপার্স কলোনি হাই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা রুম্পা দাস(Rumpa Das)।২০২১ সালে কৃষ্ণনগরের ম্যাকের হয়ে এভারেস্ট অভিযানে শামিল হোন রুম্পা।আর সেই সময়ও রুম্পা ও তার স্বামী একত্রিত হয়ে নিজেদের জমানো সব টাকা ভেঙে ও ২৫ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে এভারেস্ট অভিযানে যান।কিন্তু সেই সময় রুম্পা দেবীর করোনা হওয়ায় অক্সিজেন লেভেল এতটাই কমে যায় তাকে নেপালের কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আর ঠিক সেই অভিযান পূরণ করতে ৩১ মার্চ বেরিয়ে পড়েছে রুম্পা দেবী। এইবার স্বামী, স্ত্রী রুম্পা দেবীর যৌথ মতামত নিয়ে বাড়ি বন্ধক দিয়েছেন তারা।টাকার অঙ্কটা অনেকটাই, ২৬ লাখ টাকা।যা শোধ করবেন অনেক বছর ধরে।রুম্পা দেবী জানান, এখন তার বয়স ৪৩, প্রায় ১২-১৩ বছর ধরে তিনি নানা শৃঙ্গ জয় করে এসেছেন। এই ইচ্ছা অনেক ছোট থেকেই। বাড়িতে রয়েছে স্বামী, ননদ,বৃদ্ধ বাবা ও মা।শুধু স্বামীই নয়, বৃদ্ধ বাবা,মাও তাকে মনের জোড় দেন।মেয়ের ইচ্ছাকে তারা সব সময়ই গুরুত্ব দেন।মেয়েকে আরও এগিয়ে যেতে বলেন তারা।
রুম্পা দেবী তার এভারেস্ট জয়ের নানা অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন,কিভাবে এভারেস্টে অক্সিজেন লেভেল কমে যায় আর তখন জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ফিরেছেন।তবুও তার শৃঙ্গকে ভালোবাসা এক ফোঁটাও কমেনি।বেস ক্যাম্পের ওখানে ফোন চার্জ দিতে ২০০ টাকা নেয়, এমনকি ২ জিবি নেট রিচার্জ করতে নাকি ২০ হাজারও নেয়,ফলে বোঝাই যাচ্ছে কত টাকার প্রয়োজন এভারেস্টে যেতে হলে।রুম্পা দেবীর এমন মনের জোড়কে কুর্নিশ জানাই। তার যাত্রা শুভ হোক এই কামনাই রইল।