পড়াশোনার সুবিধার্থে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়াদের ট্যাব দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। অথচ সেই ট্যাব পাওয়ার পরও এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেনি ৫০ হাজারের বেশি পড়ুয়া, যা উদ্বেগজনক। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তথ্য বলছে, এ বছর রেজিস্ট্রেশন করার পরও গত বছরের থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এই অবস্থায় ট্যাবের টাকা নিয়েও পরীক্ষায় না বসা পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করলেন শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক।
রাজ্যজুড়ে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার টুকলি রুখতে সব পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পর্ষদ। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানোর পর পরীক্ষা কেন্দ্রের ঢোকানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। এছাড়াও রয়েছে আরও ব্যবস্থাপনা। সেই সব ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় বাণীপুর বাণীনিকেতন হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান প্রিয়দর্শনী। তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তুষ্ট হয়েছেন।
এর পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে শুরু করে মেটাল ডিটেক্টর, জলের ব্যবস্থা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন তিনি। তখন উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়া নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। সে বিষয়ে সচিব জানান, প্রত্যেক বছরই রেজিস্ট্রেশনের তুলনায় পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কম হয়। প্রায় প্রতিবছরই ৫০ হাজারের কাছাকাছি পড়ুয়া পরীক্ষা থেকে অনুপস্থিত থাকে। তবে এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যাটা অনেকটা কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় ট্যাবের টাকা নিয়েও যে সমস্ত পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাওয়া হয় সচিবের কাছে। সংসদ সচিব এবিষয়ে জানান, শিক্ষা সংসদের তরফে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকার এই টাকা দিয়েছে। তাই এ বিষয়ে রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
অন্যদিকে, একাদশ শ্রেণিতে এ বছর সেমিস্টার চালু হয়েছে। তানিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন পড়ুয়া অভিভাবকদের একাংশ। এবিষয়ে সচিব জানিয়েছেন, যে কোনও ব্যবস্থা নতুন নতুন চালু হলে তা মানিয়ে নিতে সময় লাগে। এক্ষেত্রেও আলাদা কিছু নয়। কিছুটা সময় অতিবাহিত হলেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়াও, একাদশের পাঠ্যসূচি নিয়ে শিক্ষক মহলে তৈরি হওয়া অসন্তোষ প্রসঙ্গে সচিব জানান, এবিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।