অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র দখল করে রেখেছেন তৃণমূল নেতা। আর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে প্রাথমিক স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে। বৃহস্পতিবার পুরুল্যার প্রত্যন্ত আড়শা ব্লক থেকে এসেছিল এই খবর। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের আরেক প্রান্ত বাসন্তী থেকে এর আরও ভয়াবহ সংবাদ। সেখানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অ্যাসবেসটাসের চাল ভেঙে আহত হয়েছে ৪টি শিশু। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের বাসন্তী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভগ্নপ্রায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মদের আসরও বসে।
বাসন্তীর ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের গরানবোস গ্রামের ১৬৩ নম্বর আইসিডিএস কেন্দ্রটির অবস্থা কোনও দিনই ভালো নয়। ভাঙাচোরা ঘরেই চলে কেন্দ্রটি। সেখানেই হয় রান্না। পাশে পড়াশুনো করে শিশুরা। সেই ঘরের অ্যাসবেসটাসের চাল হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ভাঙা চালের নীচে চাপা পড়ে ৪টি শিশু। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে বাসন্তী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ICDS কেন্দ্রটি নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা নেই সরকারের। দীর্ঘদিন ঘরটি সংস্থার করা হয় না। রাতে সেখানে মদের আসর বসে। আসে পাশে পড়ে থাকে মদের বোতল। তার মধ্যেই বসে পড়াশুনো করে শিশুরা। এমনকী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির বাসনপত্র কেনার জন্যও কোনও টাকা বরাদ্দ হয়নি বলে অভিযোগ। রান্নার জন্য আসা অতিরিক্ত সামগ্রী বিক্রি করে বাসন কিনেছেন স্থানীয়রা। নেই কোনও জলের কল, শৌচালয়।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনামিকা গুছাইত জানিয়েছেন, ‘বহুবার বলেও কেন্দ্রটি সংস্কার করাতে পারিনি। কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে পড়াশুনো করাই। দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুল্যান্সে ফোন করেছিলাম। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি। আমরাই টোটো করে আহত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
বাসন্তীর বিডিও সঞ্জীব সরকার জানিয়েছেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে জয়েন্ট বিডিওকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। আহতদের চিকিৎসা চলছে। কী করে এটা ঘটল খতিয়ে দেখছেন।’ স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল জানিয়েছেন, ঘটনার কথা জানিয়েছেন তিনি।