দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের জয়ে রচিন রবীন্দ্র প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ওপেন করতে নেমে দুরন্ত একটি শতরানের ইনিংস খেলেন। মূলত রাচিন রবীন্দ্র এবং কেন উইলিয়ামসনের জোড়া সেঞ্চুরির হাত ধরেই ভারত রানের পাহাড় গড়ে। সেই রাচিন রবীন্দ্র দাবি করেছেন, রবিবার ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হলে, তাঁর দলকে দুবাইয়ের পিচের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে।
অন্য ছ’টি দলের মতোই নিউজিল্যান্ড তাদের সমস্ত ম্যাচ পাকিস্তানে খেলেছে। শুধু ভারতের বিরুদ্ধে তাদের গ্রুপ-পর্যায়ের ম্যাচটি তারা দুবাইয়ে খেলে। আসলে রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার জন্য আয়োজক দেশ পাকিস্তানে যাওযার অনুমতি পায়নি। তাই হাইব্রিড মডেলে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে আইসিসি। যার ফলে পাকিস্তান এবং দুবাই মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে। ভারত তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলেছে। যেহেতু ভারত তাদের সব ম্যাচ একই স্টেডিয়ামে খেলেছে, তাই এই মাঠ সম্পর্কে আপাতত তাদের অভিজ্ঞতা কিছুটা বেশি। সে কারণেই রাচিন রবীন্দ্র মনে করেন, ভারতকে টেক্কা দিতে হলে, তাঁদেরও দ্রুত এই মাঠ এবং পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।
সেমিফাইনালে ওপেন করতে নেমে ১০১ বলে ১০৮ রান করেন রাচিন রবীন্দ্র। ফাইনালেও তাঁর থেকে বড় ইনিংস আশা করছে কিউয়িরা। যাইহোক রাচিন সেমিফাইনাল ম্যাচে জয়ের পর বলেছেন, ‘দুবাইয়ের পিচটি কেমন, তা আমরা পুরোপুরি জানি না। ভারতের বিপক্ষে আমাদের (গ্রুপ) ম্যাচের সময়ে আমরা বল ঘুরতে করতে দেখেছি, কিন্তু অন্য দিন বল সেভাবে ঘোরেনি। পরিস্থিতি অনুযায়ী রবিবারের ম্যাচে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে এবং খেলতে হবে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘দু’-একদিনের মধ্যেই আমরা এই উইকেট দেখতে পাব। আশা করছি, একটি ভালো ক্রিকেট উইকেট হবে।’
উইলিয়ামসনের সঙ্গে রাচিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রেকর্ড পার্টনাশিপও করেন। বুধবার তাঁরা জুটিতে ১৬৪ রান করেছেন। যা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপেরও রেকর্ড। রাচিনের ১০৮ এবং উইলিয়ামসনের ১০২ রানের উপর ভর করে নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ৩৬২ রান করে। এটিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ডেভিড মিলারের ৬৭ বলে অপরাজিত ১০০ রান করার পরেও ৫০ রানে হেরে যায় ম্যাচটি। ৯ উইকেটে তারা ৩১২ রান করতে সক্ষম হয়।
গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৬ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ আউট হয়েছিলেন রাচিন। তবে ফাইনালে বড় স্কোর করতে মরিয়া কিউয়ি তারকা। তিনি বলেছেন, ‘যখনই ব্যাট করবেন, আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আশা করছি, দীর্ঘ সময় ধরে (ফাইনালে) ব্যাট করব এবং দলের জন্য ভালো পারফরম্যান্স চালিয়ে যাব। যখনই আপনি একটি টুর্নামেন্ট খেলতে যান, আপনি আশা করেন যে, সেরা চারটি দলের মধ্যে থাকবেন এবং যথেষ্ট ভাগ্যবান আমরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে ভালো করেছি। আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে খুশি।’