কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সারা বিশ্ব কাঁপছিল মার্কিন শুল্ক জুজুতে। সাময়িক ভাবে সেই শুল্ক চাপের থেকে রেহাই পেয়েছে ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে চিন, কানাডার মতো বেশ কয়েকটি দেশ আবার আমেরিকার ওপর পালটা শুল্ক চাপায় এই বাণিজ্যু যুদ্ধের আবহে। তখন বেশ কয়েকজন মার্কিন বিশ্লেষক ভারতের প্রশংসা করেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, ট্রাম্পকে না চটিয়ে ভারত ‘স্মার্ট খেলেছে’। তবে আমেরিকার ওপর পালটা শুল্ক চাপায়নি বলে যে ভারত ট্রাম্পের সব দাবি মেনে নেবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই বলে স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
এই নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ‘ভারত কখনই বন্দুকের মুখে আলোচনা করবে না, এমনকি জনগণের স্বার্থের জন্য কোনও চুক্তিতেও তাড়াহুড়ো করবে না।’ মনে করা হচ্ছিল, ট্রাম্প যে ৯০ দিনের জন্যে পারস্পরিক শুল্ক স্থগিত করেছেন, সেই সময়ের মধ্যেই ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা হতে পারে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তির জন্যে কথাবার্তা চলছে। এরই মাঝে আবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ভারতে আসছেন শীঘ্রই। তবে ভারত যে কোনও চুক্তি করতে তাড়াহুড়ো করবে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন পীযূষ। তাঁর কথায়, ‘বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা কখনও আলোচনা করব না। নিজেদের দেশের স্বার্থ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনও চুক্তিই করবে না ভারত।’
এদিকে মার্কিন শুল্ক নীতি নিয়ে অপর একটি অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও। তিনি বলেন, ‘প্রথম ট্রাম্প জমানায় আমরা চারবছর ধরে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছি। তাদের মনে একটা ধারণা আছে, আর আমাদের মনে তাদের বিষয়ে একটা আলাদা ধারণা আছে।’ এদিকে আমেরিকার বর্তমান নীতি নিয়ে জয়শংকর বলেন, ‘বিশ্বের সাথে যোগাযোগের পদ্ধতিতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছে আমেরিকা এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়েছে।’ জয়শংকর অবশ্য বলেন, ‘আমরা একটা সুযোগ দেখতে পেয়েছি, আমরা আরও বেশি তৎপর। আমরা জলদি কাজ সম্পন্ন করতে চাই। তাই আমাদের বাণিজ্য চুক্তি বেশ চ্যালেঞ্জিং।’