বার্বাডোজে টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পরই মাঠে কাপ হাতে পিছনে তিরঙ্গা নিয়ে ছবি তুলেছিলেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli) এবং রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। এরপর প্যারেডের সময়ও মেরিন ড্রাইভে একসঙ্গে ট্রফি হাতে নিয়ে ছবি তোলান এই দুই কিংবদন্তি। রোহিত-বিরাটদের এই ‘বন্দে মাতরম’ গানে তখন গলা মেলান কয়েক হাজার ক্রিকেটপ্রেমী। ভিক্ট্রি ল্যাপে তখন সামনের সারিতে হার্দিক পাণ্ডিয়া। একটি পিছনেই আবার জসপ্রীত বুমরা(Jasprit Bumrah)।আর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভিক্ট্রি ল্যাপ নেওয়ার সময়ও একে অপরের পিছনেই দেখা গেল বিরাট ও রোহিতকে(Rohit Sharma)। সঙ্গে ‘বন্দে মাতরম’-এর সুরে গলা মেলাতে দেখা গেল এই মারকুটে দুই ব্যাটারকে।
১৭ বছর পর টি২০ বিশ্বকাপ জয় করে গতকালই ভারতে এসে পৌঁছন রোহিত, বিরাটরা(Virat Kohli)। হারিকেন বেরিলের কারণে ক্যারিবিয়ানেই গত কেকদিন আটকে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। তবে গতকাল ভোরে এয়ার ইন্ডিয়ার চার্টার্ড বিমানে করে দিল্লিতে পা রাখেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তিরা। এরপর দিল্লি বিমানবন্দর থেকে সোজা আইটিসি মৌর্য হোটেলে যান রোহিতরা। সেখানে কেক কাটা হয়। পরে ব্রেকফাস্ট করতে ট্রফি সমেত গোটা দল পৌঁছয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। সেখানে বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন মোদী। এরপর দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে আসেন রোহিত-বিরাটরা। মুম্বই বিমানবন্দরে ওয়াটার ক্যানন স্যালুট দেওয়া হয় বিরাটদের বিমানকে।
এদিকে এত কিছুর মাঝেও তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। ক্যারিবিয়ান থেকে রোহিতদের দেশে ফেরাতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান নিউ ইয়র্ক থেকে গিয়েছিল বার্বাডোজে। দাবি করা হয়, সেই বিমানটি নিউ ইয়র্ক-দিল্লির উড়ানের জন্যে নির্ধারিত ছিল।এনিয়ে বুধবার এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট তলব করে দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। উল্লেখ্য, উড়ান বাতিল ডিজিসিএ-র অসামরিক বিমান পরিবহণ বিধির গুরুতর লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক বিমান আধিকারিক বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিমান বাতিল করতে হয়েছিল, যার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। তখনই বি৭৭৭-কে বার্বাডোজে পাঠানো হয়। এই আবহে সেই উড়ান বাতিল করে এই বিমানটি বার্বাডোজ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আনে।
এরপর সন্ধ্যা নাগাদ মেরিন ড্রাইভ ধরে এক কিলোমিটার দীর্ঘ প্যারেড করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে খোলা বাসের ছাদে উঠে ওয়াংখেড়ে পৌঁছে যান হার্দিক(Hardik Pandey)-কুলদীপরা। দলের হাতে বিসিসিআই ঘোষিত পুরস্কারের ১২৫ কোটি টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। রোহিত, বিরাট, রাহুল দ্রাবিড়রা সঞ্চালক গৌরব কাপুরের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সব শেষে মাঠ ঘুরে ঘুরে দর্শকদের অভিবাদন গ্রহণ করেন রোহিত-বিরাটরা। সেই সময়ই স্টেডিয়ামের পাবলিক অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেমে বাজছিল বন্দে মাতরম গানটি। আর সেই গানের সাথে গলা মিলিয়েছিলেন হার্দিক-বুমরা সহ কয়েক হাজার ক্রিকেটপ্রেমী।অবশ্য নিজের প্রিয় ক্রিকেটারদের দেখতে দুপুর থেকেই মেরিন ড্রাইভে ভিড় করে ছিলেন কয়েক লাখ মানুষ। আর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের বিশ্বজয়ীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।