ইন্ডিয়ান আইডলের ১৫ নম্বর সিজন জিতে আপাতত বাংলার মানুষের মনে রাজত্ব করছেন মানসী ঘোষ(Manasi Ghosh)। জাতীয় স্তরে এই গানের কম্পিটিশন শুরুর এতগুলো বছর পর, ট্রফি এল বাংলায়। ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি-র পাশাপাশি অবশ্য মানসী জিতে নিয়েছেন ২৫ লাখ টাকাও। তা এই পুরস্কারের অর্থ কীভাবে খরচ করার কথা ভাবছেন তিনি?
মানসী ঘোষের ফ্যানপেজ থেকে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে দেখা গেল, সাক্ষাৎকারের সময় মানসীর কাছে জানতে চাওয় হয় যে, ইন্ডিয়ান আইডল থেকে পাওয়া ২৫ লাখ টাকা নিয়ে তিনি কী করবেন? আর ট্রফি প্রথমবার হাতে নেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
মানসী ঘোষ একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, ইন্ডিয়ান আইডলে অংশ নেওয়ার পর থেকেই, তাঁর কাছে প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনালে পৌঁছনো। ভেবেই রেখেছিলেন, যত পরিশ্রম দরকার করবেন, তবে ফাইনালে যাবেনই। তবে বিজেতা যে হবেন, এটা সেভাবে বুঝতে পারেননি। তাই বিজেতা হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরপরই, একটা ঘোরের মধ্যে যেন চলে যান!
এই সাক্ষাৎকারেও মানসীকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি যখন ট্রফি নিলাম হাতে, পুরো ব্ল্যাঙ্ক হয়ে গিয়েছিলাম। কিছু বুঝতে পারছিলাম না প্রথমটায় কীভাবে রিয়্যাক্ট করা উচিত আমার। এটা ভীষণ দামি আমার কাছে। আর অবশ্যই খুব খুশি হয়েছিলাম। আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ সবার কাছে। তবে হ্যাঁ, সেই সময়টা একদম ব্ল্যাঙ্ক হয়ে গিয়েছিলাম।’
এরপর প্রাইজ মানি ২৫ লাখ নিয়ে মানসী জানালেন, ‘আমার অরিজিনাল মিউজিক বানাব… গানের জন্য যা যা আমাকে করতে হবে, তাতেই এই টাকাটা আমি কাজে লাগাব।’
বেলঘরিয়া নিমতার বাসিন্দা মানসী ঘোষ। ছোটবেলা থেকেই গান শেখা, তখন মায়ের ইচ্ছেতে হলেও, পরবর্তীতে এটাকেই ভালোবেসে ফেলেন। মাত্র চার বছর বয়সে যে সফর শুরু হয়, তা আকাশ ছোঁয় ২০ বছর পর, যখন মানসী ২৪। ইন্ডিয়ান আইডলেরমাধ্যমে গোটা দেশের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার মেয়ে। এর আগে ২০২২ সালে সুপার সিঙ্গারে অংশ নিয়েছিলেন মানসী। যদিও সেই প্রতিযোগিতায়, ফাইনাল থেকে তিনি ফেরেন খালি হাতে। দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তবে সেই না পাওয়ার ক্ষত পূরণ করে দিয়েছে ইন্ডিয়ান আইডল ২০২৪-২৫।