রবিবার ৬ মার্চ ছিল ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫-র গ্র্যান্ড ফিনালে। আর বাংলার প্রতিটা মানুষের মুখ উজ্জ্বল করে, ট্রফি এসেছে বাংলায়। প্রথমবার কোনো বাঙালির হাতে উঠেছে ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি। আর এই অসাধ্যসাধন হয়েছে মানসী ঘোষের হাত ধরে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার, উত্তর দমদম পৌরসভার অন্তর্গত, নিমতা পাইকপাড়ার বাসিন্দা মানসী(Manashi)। সেখানেই বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা। তবে আজ তাঁর নাম জানে, দেশের প্রায় প্রতিটা মানুষ। তাই তো, মঞ্চে উঠে মানসী যখন ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি নিচ্ছিলেন, তখন সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন তাঁর বাবা-মা-মাসি, আর সঙ্গে টিভির অপর প্রান্তে বসে চোখ ভিজেছিল বাঙালিরও।
ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফির পাশাপাশি বেশ কিছু প্লেব্যাকের অফারও এসেছে মানসীর ঝুলিতে। ফাইনালের দিনই তাঁর সঙ্গে গান গাইবেন বলে জানিয়ে দেন বাদশা। ইতিমধ্যেই শানের সঙ্গে একটি গান রেকর্ড করে ফেলেছেন। একটি বাংলা সিঙ্গেলেও থাকছে তাঁর গলা।
তা কী জিতলেন মানসী ইন্ডিয়ান আইডল থেকে? সিজন ১৫-র একটা ইয়াব্বড় ট্রফি তো পেয়েছেনই, সঙ্গে নগদ অর্থ পেয়েছেন ২৫ লাখ টাকা। এছাড়াও একটি নামি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে একটি গিফট কুপন। তবে খালি হাতে ফেরেননি দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আসা শুভজিৎ ঘোষ ও স্নেহা শঙ্কর।
তৃতীয় স্নেহা পেয়েছেন ৫ লাখ টাকার চেক। আর দ্বিতীয় হওয়া খড়গপুরের ছেলে শুভজিতের পুরস্কার মূল্যও ৫ লাখ। জাতীয় স্তরে, এত বড় মঞ্চে প্রথম তিনে নাম আসাই বড় সাফল্য যে কোনো গায়কের জন্য। এছাড়াও ফাইনালে টি সিরিজের সঙ্গে কাজ করার অফার পেয়েছেন স্নেহা। আর সরাসরি ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে তা জানিয়েছেন ভূষণ কুমার।
ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫ সম্পর্কে:
প্রথম থেকেই ইন্ডিয়ান আইডলে ছিল বাঙালিদের জয়জয়কার। সিজন ১৫-র সেরা পনেরো-তে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাংলার ৭ তারকা। শুভজিৎ চক্রবর্তী, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মানসী ঘোষ, প্রিয়াংশু দত্ত, সৃজন পোরেল, রঞ্জিনী সেনগুপ্ত, ময়ূরী সাহা-রা। এমনকী, ফাইনালের সেরা ৫-এ পৌঁছন ৩জন, মানসী-শুভজিৎ ও প্রিয়াংশু। আর সিজন শেষে চার নম্বরে থাকলে প্রিয়াংশু। প্রথম ও দ্বিতীয়তে যথাক্রমে মানসী ও শুভজিৎ।