কয়েকদিন আগেই নিজেদের ‘বঙ্গোপসাগরের গার্ডিয়ান’ আখ্যা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। আর সেই ঘোষণার পরে নরেন্দ্র মোদী মিষ্টি ভাষায় কড়া বার্তা দিয়ে ইউনুসকে বলেন, এমন কোনও বক্তব্য দেওয়া উচিত না, যাতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। এরই মাঝে আবার বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলার উন্নয়নের বরাত পেয়েছে চিন। এই সবের মাঝে ভারত এবার বিশাখাপত্তনমে বঙ্গোপসাগরে পারমাণবিক সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী বছরই অন্ধ্রে গড়ে উঠবে এই কৌশলগত ঘাঁটি।
রিপোর্টে দাবি কার হয়েছে, বিশাখাপত্তনমে ইস্টার্ন ন্যাভাল কমান্ডের সদর দফতর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রম্বিলি গ্রামের কাছে তৈরি হতে পারে এই নৌসেনা ঘাঁটি। সেখনে ভূগর্ভস্থ টানেলের নেটওয়ার্ক আছে। এই ঘাঁটি থেকে নীরবেই বঙ্গোপসাগরে বিচরণ করতে পারবে ভারতের পারমাণবিক সাবমেরিনগুলি। মালাক্কা প্রণালীর ওপরও নজরদারি চালাতে পারবে ভারত। বঙ্গোপসাগরে চিনের দাদাগিরিও রোখা যাবে এতে। সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে দাবি কার হয়েছে, রম্বিলি ঘাঁটির প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০২৬ সালে কমিশন করা হতে পারে। প্রায় একদশক সময় লেগেছে এই ঘাঁটি তৈরি করতে। এদিকে ভারত নিজেদের তৃতীয় পারমাণবিক সাবমেরিন ‘আইএনএস অরিধমান’ কমিশন করতে চলেছে শীঘ্রই। এছাড়া ভারতে হাতে এখন আইএনএস অরিহান্ত এবং আইএনএস অরিঘাট নামক দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে।
সম্প্রতি চিনে গিয়ে উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। আর সেই মন্তব্যের জবাবে এবার বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে আলাদা করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিপ্রা মোথা নেতা তথা ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যোৎ মাণিক্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন সফরে উত্তরপূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ইউনুস। তিনি নাকি বলেছিলেন, ‘উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি (গার্ডিয়ান বা অভিভাবক)। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চিনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।’ ইউনুসের এই মন্তব্য ভারতের উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে দেখেছিলেন অনেকেই। পরে যদিও ঢাকার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ইউনুসের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।