Indian Railways। ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন না স্টেশনে

Spread the love

ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা আর প্রবেশ করতে পারবেন না রেলওয়ে স্টেশনে। রেলের সামগ্রিক উন্নয়ন আরও জোরদার করতে এমনই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। উৎসবের মরশুম এবং মহাকুম্ভের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শুক্রবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের নেতৃত্বে এক উচ্চস্তরীয় বৈঠকে দেশের ব্যস্ততম রেলস্টেশনগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে গৃহীত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

সূত্রের খবর, বৈঠকে রেলমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে দেশের ব্যস্ততম ৬০টি স্টেশনে স্থায়ী ওয়েটিং এরিয়া তৈরি করা হবে। পাইলট প্রকল্প শুরু হবে নিউদিল্লি, আনন্দ বিহার, বারাণসী, অযোধ্যা ও পাটনা স্টেশনে।একই সঙ্গে বৈধ টিকিট ছাড়া প্ল্যাটফর্মে প্রবেশে আরও কড়া হবে রেল। পাশাপাশি ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা প্রবেশ করতে পারবেন না স্টেশনে। স্টেশনের বাইরের ওয়েটিং এরিয়ায় থাকতে হবে তাঁদের। এছাড়াও প্রত্যেক ফুট-ওভার ব্রিজ ১২ মিটার ও ৬ মিটার চওড়া হবে। পুরনো ওভারব্রিজ নতুন করে তৈরি করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে। একই সঙ্গে স্টেশন ও আশপাশের এলাকায় নজরদারি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।

পাশাপাশি বড় স্টেশনে তৈরি হবে ওয়ার রুম। উন্নত ওয়াকি-টকি ও প্ল্যাটফর্ম চত্বরে নিয়মিত ঘোষণার জন্য আরও উন্নত ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে। রেলকর্মী এবং রেলের অথারাইজড কর্মীদের জন্য নতুন আইডি কার্ড ও ইউনিফর্ম দেওয়া হবে।প্রতিটি প্রধান স্টেশনে একজন স্টেশন ডিরেক্টর থাকবেন। জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্টেশন ডিরেক্টরকে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হবে। বিশেষত ভিড়ের নিরিখে টিকিট বিক্রি কখন বন্ধ হবে সে বিষয়ে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তাঁর। একই সঙ্গে সময়োপযোগী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি স্টেশনে কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীদের ভিড়ে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার জেরে মহিলা ও শিশু-সহ মোট ১৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়।ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছিলেন।এই ঘটনার পরেই আরও তৎপর হয় রেল মন্ত্রক। তার জেরেই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে রেল মন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *