মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় উদ্যোগপতি শ্রুতি চতুর্বেদীকে ৮ ঘন্টা আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মহিলার পরিবর্তে একজন পুরুষ আধিকারিক তাকে পরীক্ষা করেছিলেন অভিযোগ তুলেছেন। যার কারণে তিনি ফ্লাইট মিস করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর পোশাকও খোলানো হয়েছিল বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার এক্স বার্তায় ইন্ডিয়া অ্যাকশন প্রজেক্ট এবং চাইপানির প্রতিষ্ঠাতা শ্রুতি চতুর্বেদী বলেন, আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় তাঁকে ধরা হয়। তাঁর হাতে থাকা ব্যাগ পরীক্ষা করতে গিয়ে খটকা লাগে নিরাপত্তারক্ষীদের। এরপরই বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত মার্কিন পুলিশ এবং ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন তাঁর লাগেজ থেকে সন্দেহজনক একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক উদ্ধার করে। শ্রুতির অভিযোগ, এরপরেই তাঁর আপত্তি সত্ত্বেও পুরুষ অফিসাররা ক্যামেরার নজরদারি শারীরিক পরীক্ষা করেন। পাশাপাশি তাঁকে টানা ৮ ঘন্টা বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়। সেই সময় তাঁকে শৌচালয়েও পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ‘কল্পনা করুন, আপনাকে কোনও বড় কারণ ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে, অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, একজন পুরুষ অফিসার ক্যামেরার সামনে আপনার পরীক্ষা করছেন, আপনার গরম পোশাক, মোবাইল, পার্স, সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আপনাকে একটি ঠান্ডা ঘরে আটকে রাখা হচ্ছে, আপনাকে টয়লেটে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, কাউকে ফোন করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং তারপরে আপনি আপনার ফ্লাইট মিস করছেন। এই সব ঘটেছে শুধুমাত্র আমার হ্যান্ডব্যাগে একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকার কারণে, যা সেখানকার নিরাপত্তা আধিকারিকরা ‘সন্দেহজনক’ বলে মনে করেছিলেন।’
একই সঙ্গে শ্রুতি চতুর্বেদী তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশ মন্ত্রককে ট্যাগ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার এখন কিছু কল্পনা করার প্রয়োজন নেই কারণ আমি ইতিমধ্যেই আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ ৭ ঘন্টা কাটিয়ে ফেলেছি। এবং আমরা সবাই জানি কেন এটা ঘটেছে।’ এর আগে শ্রুতি তার আলাস্কা ভ্রমণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন।পাশাপাশি তার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বেশ কয়েকটি পোস্ট লিখেছিলেন। কিন্তু এই নতুন ঘটনায় তার ছুটির পুরো আমেজ বদলে দিয়েছে। এর আগে ৩০ মার্চ শ্রুতি চতুর্বেদী সোশ্যাল মিডিয়ায় নর্দার্ন লাইটসের ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘আলাস্কায় উড়ে গিয়েছিলাম, ডাল্টন হাইওয়ে পেরিয়েছি, আর্কটিক সার্কেল পেরিয়েছি এবং রাতে ঘরের ব্যালকনি থেকে নর্দার্ন লাইট দেখেছি। আমি খুবই উত্তেজিত।’