India’s unwanted record in Bengaluru। কিউয়ি বোলারদের দাপটে ‘লজ্জার’ মুখে ভারত

Spread the love

বেঙ্গালুরুতে ক্রাইস্টচার্চের ‘কন্ডিশন’! আর তাতেই কেঁপে গেল ভারতের টপ-অর্ডার। বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ১০ রানে তিন উইকেট খুইয়ে ফেলেছে ভারত। আউট হয়ে গিয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং সরফরাজ খান। আপাতত ক্রিজে আছেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং ঋষভ পন্ত। তাঁদেরও তেমন স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে দেখা যায়নি। এমনকী পরিস্থিতি এমনই যে অস্বস্তিকর নজিরও তৈরি করে ফেলেছে ভারত। সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময় কোনও দলকে নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এত নড়বড়ে দেখায়নি (২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড ছাড়া)। বেঙ্গালুরুতে প্রথম ১০ ওভারে ভারতের ব্যাটাররা ২৪টি ‘ফলস শট’ খেলেন। মেরেকেটে ৬০ শতাংশ শটের উপরে নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁদের।

আর সেই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে টসে জিতেও বেঙ্গালুরুতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিত? বৃষ্টির জন্য প্রথম দিন একটা কভারের তলায় ছিল পিচ। গড়ায়নি একটি বলও। দ্বিতীয় দিনে খেলা শুরু হলেও আকাশ মেঘলা ছিল। আর সেই পরিস্থিতিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত একেবারে ‘হোম’ কন্ডিশন পেয়ে গিয়েছেন কিউয়ি বোলাররা। সেটার পুরো ফায়দা নিয়ে ভারতের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন।

প্রথম থেকেই ভারতীয় ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলছিলেন কিউয়ি বোলাররা। একবার বরাতজোরে বেঁচে যান রোহিত। কিউয়ি বোলাররা যে চাপ তৈরি করেছিলেন, সেটা কাটানোর জন্য আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে টিম সাউদির বলে রোহিত আউট হয়ে যান। ১৬ বলে দু’রান করেন তিনি। তখন ভারতের স্কোর ছিল ৬.৩ ওভারে নয় রানে এক উইকেট। আড়াই ওভার পরে আউট হয়ে যান বিরাট (নয় বলে শূন্য রান)। ২০১৬ সালের পরে ফের তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বিরাট যে বলটা পান, তাতে তাঁর বেশি কিছু করার ছিল না।

চারে নেমে সরফরাজও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মেরে খেলতে গিয়ে ম্যাট হেনরির বলে বড় শট মারতে যান ভারতীয় তারকা। কিন্তু বলটা মারার জায়গায় ছিল। মিসহিট হয়ে যায়। নিজের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ডেভন কনওয়ে। বলের গতি তেমন না থাকায় শূন্যে ভেসে থেকে ক্যাচটা ধরতে পারেন। তবে যে অবিশ্বাস্য কায়দায় ক্যাচটা ধরেন, তাতে হতবাক হয়ে হাসতে পারেন বোলারও। আর হতবাক হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান সরফরাজ।তারপর কোনওক্রমে নিজেদের উইকেট বাঁচিয়ে রাখেন যশস্বী এবং পন্ত। ফের যখন বৃষ্টি নামায় খেলা স্তব্ধ হয়ে যায়, তখন ১২.৪ ওভারে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় তিন উইকেটে ১৩ রান। ৩৭ বলে আট রানে অপরাজিত ছিলেন যশস্বী। ১১ বলে তিন রানে অপরাজিত ছিলেন পন্ত। তারপর ফের খেলা শুরু হয়। আর খেলা শুরুর পরে প্রথম বলেই চার মারেন পন্ত। যা এই টেস্টের প্রথম চার। আর সেটার জন্য ৭৭টি বল লাগল।

এমনিতে আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে কেন কেএল রাহুলকে তিনে নামানো হল না? রাহুল তো স্পেশালিস্ট ওপেনার ছিলেন। এখন না হয় মিডল-অর্ডারে খেলছেন। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে তো গৌতম গম্ভীরদের তাঁকে নামানো উচিত ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *