IPL and BPL Prize Money Comparison। ১টা IPL জিতলে যে টাকা মেলে! তা ১০ বার বিপিএল জিতেও মিলবে না

Spread the love

বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগের (বিপিএল) পুরস্কারমূল্য বেড়েছে। কিন্তু আইপিএলের থেকে সহস্র যোজন দূরেই রয়ে গেল সেই অঙ্কটা। সহজ অঙ্কের হিসেবে আইপিএলের একটা মরশুমে চ্যাম্পিয়ন হলে যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়, সেটা বিপিএলে ১০ বার চ্যাম্পিয়ন হলেও পাওয়া যাবে না (এবার বিপিএলের একাদশ সংস্করণ হল)। কারণ ২০২৪ সালের আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কারমূল্য ছিল ২০ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়)। বাংলাদেশি মুদ্রায় আইপিএলের পুরস্কারমূল্যটা হল আদতে ২৮ কোটি টাকার মতো। সেখানে ২০২৫ সালের বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কারমূল্য বাড়িয়ে ২.৫ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) করা হয়েছে।

২০০৮ সালে আইপিএল জিতলেও বিপিএলের থেকে বেশি টাকা মিলত!

তবে শুধু সেটাই চমকপ্রদ ব্যাপার নয়। ২০০৮ সালে প্রথমবার যখন আইপিএল শুরু হয়েছিল, তখন চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছিল ৪.৮ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়)। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেই অঙ্কটা দাঁড়াবে ৬.৭২ কোটি টাকার মতো। অর্থাৎ ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন দলকে পুরস্কারমূল্য হিসেবে যে টাকা দেওয়া হত, সেটা একাদশ বিপিএলে প্রদান করা প্রাইজ মানির থেকেও কম।

রানার্স-আপ দলের ক্ষেত্রেও আকাশ-পাতাল পার্থক্য!

চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের পাশাপাশি রানার্স-আপদের যে পুরস্কারমূল্য দেওয়া হয়, তাতেও আইপিএল অনেকটা এগিয়ে আছে। ২০২৪ সালের আইপিএলে রানার্স-আপ হয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ পেয়েছিল ১৩ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়)। বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে সেটাই ১৮.২ কোটি টাকায় পৌঁছে যাবে। সেখানে বিপিএলের রানার্স-আপ দলের কপালে জোটে মাত্র ১.৫ কোটি টাকা ।

ILT20 ও SA20-র পুরস্কারমূল্য কত?

তবে শুধু বিপিএল নয়, পুরস্কারমূল্যের নিরিখে আইপিএলকে টেক্কা দিতে পারেনি ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি (ILT20) বা দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগও (SA20)। যদিও বিপিএলের থেকে ওই দুটি টি-টোয়েন্টি লিগেরই পুরস্কারমূল্যের অঙ্কটা অনেকটাই বেশি।

২০২৫ সালের ILT20-তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে পুরস্কারমূল্য হিসেবে দিল্লি ক্যাপিটালস ৭০০,০০০ মার্কিন ডলার পেয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যে অঙ্কটা ছয় কোটি টাকার সামান্য বেশি। আর বাংলাদেশি মুদ্রায় সেই অঙ্কটা ৮.৫১ কোটি টাকার মতো। রানার্স-আপ হয়ে ৩০০,০০০ মার্কিন ডলার পেয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্স। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২.৬ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩.৬৪ কোটি টাকার মতো।

আর SA20-তে চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কারমূল্য হল ১৬ কোটি টাকার মতো (ভারতীয় মুদ্রায়)। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা দাঁড়াচ্ছে ২২.৪ কোটি টাকার মতো। যে পরিমাণ অর্থ এবার SA20-তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পেয়েছে এমআই কেপটাউন। আর ফাইনালে হেরে যাওয়া সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ ভারতীয় মুদ্রায় ৭.৬৫ কোটি টাকার মতো পুরস্কারমূল্য পেয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেই অঙ্কটা প্রায় ১০.৭ কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *