Iran attacks Israel। ইজরায়েলকে ‘টার্গেট’ করে পরপর মিসাইল ছুড়ল ইরান!

Spread the love

আমেরিকার আশঙ্কাই সত্যি হল। ইজরায়েলকে ‘টার্গেট’ করে মিসাইল ছুড়ল ইরান। সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইজরায়েলের তেল আভিভে সাইরেন বেজে উঠেছে। বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গিয়েছে। জেরুসালেমের কাছেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে বলে ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলের এক কোটি সাধারণ নাগরিককে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ইরানের ছোড়া মিসাইলে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি বলে দাবি করেছে ইজরায়েল। 

পালটা জবাব দিলে ফল ভুগতে হবে, হুঁশিয়ারি ইরানের

আর সেই হামলার পরে ইজরায়েল চুপ করে বসে থাকবে না বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। সোমবারও ইজরায়েলের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে মধ্য-প্রাচ্যের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে তারা পৌঁছাতে পারবে না। 

মঙ্গলবার কয়েক ডজন মিসাইল ছোড়ার পরে ইরানের তরফে পালটা হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে ইজরায়েল যদি সামরিক পথে জবাব দেয়, তাহলে ফল ভুগতে হবে। সেই পরিস্থিতিতে মধ্য-প্রাচ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সেদিকে ভারত-সহ পুরো বিশ্বেরই নজর আছে। চোখ আছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টেরও। 

মোহনবাগান আদৌও কোনও ভুল করছে?

বুধবার ইরানেই মোহনবাগানের ম্যাচ পড়েছে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-তে ট্র্যাক্টর এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ হওয়ার কথা আছে। কিন্তু ইরানের মদতপুষ্ট হিজবুল্লা জঙ্গি সংগঠনের উপরে হামলা চালানোর পরে মধ্য-প্রাচ্যে যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সুরক্ষা সংক্রান্ত ঝুঁকি আছে বলে দাবি করে এএফসিকে সেই ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে সবুজ-মেরুন বাহিনী। আজ ম্যাচ-পূর্ববর্তী সাংবাদিক বৈঠকেও মোহনবাগান হাজির ছিল না। 

হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, সেগুলি গুলি করে নামানোর কাজে ‘বন্ধু’-কে সাহায্য করার জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তিনি পুরো পরিস্থিতির উপরে নজর রেখেন। তাঁদের নিয়মিত তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে।

আর তার জেরে মোহনবাগানকে এএফসির শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে একটি মহলের তরফে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কিন্তু যে অঞ্চলে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে এবং পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে, সেখানে খেলতে না যাওয়ার জন্য মোহনবাগানকে শাস্তি দেওয়া আদৌও উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এল ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিবৃতির পরে। 

যদিও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে কিনা, তা নিয়ে আপাতত এএফসির তরফে মুখ খোলা হয়নি। এএফসির তরফে আপাতত শুধু জানানো হয়েছে, মোহনবাগান যে ইরানে যেতে চাইছে না, সেই বিষয়টি নিয়ে অবহিত এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশন। বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত এএফসি কমিটির কাছে পাঠানো হবে। উপযুক্ত সময় তথ্য জানানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে এএফসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *