ISL 2024-25 Final। মোহনবাগান নাকি সুনীল ছেত্রী

Spread the love

প্রিয় দল মোহনবাগানকে সমর্থন করবেন, নাকি জামাইকে? কে জিতলে বেশি খুশি হবেন? এই বিষয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি জানান, ‘মোহনবাগান ভালো খেললে ভালো। জিতলে ভালো। হারলেও ঠিক আছে। খেলায় হার-জিত আছে। খুশি হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। যে ভালো খেলবে, সে জিতবে। সুনীল যদি ভালো খেলে জিতবে।’

আর কয়েক ঘণ্টা পরেই আইএসএলের মেগা ফাইনাল ম্য়াচটি অনুষ্ঠিত হবে। মোহনবাগানের মুখোমুখি হবে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি। এই অবস্থায় ধর্মসঙ্কটে রয়েছেন সুব্রত ভট্টাচার্য। সুনীল ছেত্রিকে তিনিই যে তুলে এনেছেন সেটাই জানান ময়দানের বাবলু।

মোহনবাগানের ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য আজকাল ডট ইন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে তিনি সেভাবে মনে প্রাণে কাউকে সমর্থন করেন না। আইএসএল-এর ফাইনালের আগে সুনীল ছেত্রীর অবসর ভেঙে মাঠে ফেরা নিয়েও মুখ খুললেন সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘অবসর ভেঙে ফিরে এসে ভালো করেছে। এত তাড়াতাড়ি ছাড়বে কেন? চলচ্চিত্র জগতেই হোক, বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে, যদি ক্ষমতা থাকে, খেলা চালিয়ে যেতে পারে। রেকর্ড থাকা ভালো। আমি অবসর নেওয়া সমর্থন করি না। ওর অবসর নেওয়া নিয়ে আমার সমর্থন ছিল না। আমি নিজে ১৯৯১ সালে অবসর নিই। আমি নিতে চাইনি। বলা হয়েছিল, যে ফর্মে ছিলাম, সেটা থাকতে থাকতে ছেড়ে দিতে। আজকে সুনীল ছাড়া ভারতীয় ফুটবল চলবে না। যতদিন বুঝবে পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারবে, ততদিন খেলুক।’

এরপরে সুব্রত ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘শুধু একজন সুনীল ছেত্রীকে দিয়ে তো হবে না। আগে একদিকে চুনী গোস্বামী থাকলে, অন্যদিকে বলরাম থাকত। একদিকে জার্নাল সিং থাকলে, অন্যদিকে অরুণ ঘোষ থাকত। সব জায়গাতেই ভালো খেলোয়াড়ের প্রাচুর্যতা ছিল। খেলার মধ্যে আর সেই সৌন্দর্য নেই। খেলার মধ্যে সেই সংকল্প নেই। সুনীল শেষ প্রতিভা। ও খেলা ছেড়ে দিলে, ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

আইএসএলের মেগা ফাইনাল ম্য়াচে প্রিয় মোহনবাগান ও জামাই সুনীল ছেত্রী নামলেও এই ম্যাচ হয়তো দেখতে যাবেন সুব্রত ভট্টাচার্য। খেলা দেখতে না যাওয়ার কারণ বলতে গিয়ে সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘খুব ভালো খেলা আর হয় না। না একটা সুরজিৎ সেনগুপ্ত আছে, না একটা কৃষানু দে আছে। খেলার মধ্যে যে গুণ থাকা দরকার, সেটা কতটা আছে জানি না। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল নামটার জন্য মানুষের একটা আগ্রহ আছে। কিন্তু খেলায় নৈপুণ্য নেই। গ্রামাঞ্চলে যে প্রতিভা আছে, তার অন্বেষণ হয় না। এই ধরনের প্রতিভাকে সামনে আনা হয় না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *