যুবভারতী স্টেডিয়ামে আইএসএল ফাইনালের মধ্যেই তাঁর গায়ে আতসবাজি লেগেছে। এমনই অভিযোগ করলেন বেঙ্গালুরু এফসির মালিক পার্থ জিন্দল। সেই পরিস্থিতিতে এরকম হাইপ্রোফাইল ম্যাচে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। ফাইনালের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অভিযোগ করেন, ‘স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসির ছেলেদের সমর্থন করার সময় আমার গায়ে আতসবাজি লাগে। কলকাতায় আইএসএল ফাইনালের সময় এরকম মানের নিরাপত্তা কি আমরা আশা করব?’
‘ফুটবলে হিংসার কোনও জায়গা নেই’, বিরক্ত পার্থ
পরে ফাইনাল শেষে যুবভারতী থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সমর্থকদের বিরুদ্ধে কিছুটা উষ্মাপ্রকাশ করেন বেঙ্গালুরুর মালিক। তিনি বলেন, ‘আমার গায়ে আতসবাজি লাগে। আমার মতে, ফুটবলে হিংসার কোনও জায়গা নেই। তাই সবাইকে অনুরোধ করব যে স্টেডিয়ামে বাজি নিয়ে আসবেন না। খেলাটা উপভোগ করুন। কিন্তু অ্যাওয়ে দলের সমর্থক বা আমাদের মতো লোকের দিকে আতসবাজি ছুড়বেন না।’
বেঙ্গালুরু ফ্যানদের দিকে তাক করে ছোড়া হয়েছে বাজি?
বিষয়টি নিয়ে বেঙ্গালুরু এফসি ক্লাবের তরফেও মুখ খোলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেঙ্গালুরুর তরফে বলা হয়েছে, ‘আমাদের বলা হয়েছে যে সমতাসূচক গোলের পরে ওয়েস্ট ব্লক ব্লুজের দিকে তাক করে আতসবাজি ছোড়া হয়েছে। কিন্তু ওটা তাঁদের থেকে বেশি জোরালো শব্দের ছিল না। তাই আমরা শুনতে পাইনি।’
বেঙ্গালুরুর ফ্যানদের কোনও চোট-আঘাত লেগেছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে বরাতজোরে তাঁর বড় বিপদ হয়নি বলে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুর মালিক। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতার মাঠে ৬০,০০০ সমর্থককে দেখে ভালো লাগছে। তবে তাতে যে আতসবাজির ঘটনাটা কিছুটা চোনা ফেলে দিয়েছে, তা গোপন করেননি। তিনি জানিয়েছেন, গায়ে আতসবাজি লাগানোর পরে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের তরফে ফার্স্ট-এড দেওয়া হয়। করা হয় প্রাথমিক চিকিৎসা।
মোহনবাগানকে চ্যালেঞ্জও ছুড়লেন পার্থ
তারইমধ্যে লিগ শিল্ডের পরে মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুর মালিক। সেইসঙ্গে মোহনবাগানকে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দারুণ খেলেছে (মোহনবাগান)। দুর্দান্ত। দারুণ দল গঠনের জন্য সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (মোহনবাগানের কর্তা) এবং জোসে মোলিনাকে (মোহনবাগানের হেড কোচ) অভিনন্দন। আমি ওদের (মোহনবাগান) অভিনন্দন জানাতে চাই। ওদের এই মুহূর্তটা উপভোগ করা উচিত। ওদের এটাও জেনে রাখা উচিত যে বেঙ্গালুরু এফসি প্রবল মরশুমে প্রবল শক্তি নিয়ে আসবে।’