Jadavpur University Update। যাদবপুরে আহত ইন্দ্রানুজের বাবাকে বেলাগাম আক্রমণ কুণালের

Spread the love

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আহত হয়েছিলেন ইন্দ্রানুজ রায়(Indranuj Roy)। বর্তমানে কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। শনিবার পুলিশ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যায় বলে খবর। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল সেটাই জানতে চাইছে পুলিশ। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পরেই হাসপাতাল থেকে পুলিশের কাছে মেল পাঠিয়েছিলেন ইন্দ্রানুজ রায়। এতদিন কিছুটা চুপচাপ ছিল পুলিশ। তবে এবার ইন্দ্রানুজ কিছুটা সুস্থ হতেই পুলিশ তার কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানতে চাইছে বলে খবর।

এদিকে গোটা ঘটনায় এবার ইন্দ্রানুজের বাবাকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, গাড়িটা ইচ্ছাকৃতভাবে মারেনি। বাইট দিয়ে বলেছেন ইন্দ্রানুজের মা। আর আপনি( ইন্দ্রানুজের বাবা) আবার প্রতিবাদীদের মিছিলে হাঁটছেন। দ্বিচারিতা করছে। ছেলের ছবি ভাঙিয়ে প্রচার নিচ্ছেন নিজেদের। আপনারা বামপন্থী পরিবার জানি। ছবি দেখিয়ে নিজের প্রচার নেবেন না। আপনার স্ত্রী বলবেন যে ব্রাত্যর গাড়িতে ইচ্ছাকৃতভাবে মারেনি। আর আপনি মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে বাণী ছড়াবেন। এই দ্বিচারিতা করবেন না। বললেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। যাদবপুরে নাগরিক মিছিলে হেঁটেছিলেন আহত ইন্দ্রানুজের বাবা। আর সেই অধ্যাপক বাবাকেই নিশানা করলেন কুণাল। আর সেই আক্রমণ করতে গিয়ে যে ধরনের বাক্য ব্যবহার করলেন কুণাল ঘোষ তা কতটা শোভনীয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে ইতিমধ্য়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আলোচনায় বসার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরের মধ্যে আলোচনায় না বসলে ফের শুরু হবে আন্দোলন।

এদিকে ইন্দ্রানুজের বাবা আগেই বলেছিলেন, ছাত্রদের দাবি অত্যন্ত জরুরী দাবি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ শিক্ষার ক্ষেত্রে জড়িত যে দাবি সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক পথে এই দাবি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হোক। তিনি জানিয়েছেন, ভিসি, প্রোভিসি যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা। যত দ্রুত আলোচনার দরজা খোলা যাবে ততই জটিলতা কাটবে। যে কোনও বিষয় আলোচনার মাধ্যমে জট কাটবে। সেই সঙ্গেই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হোক।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তখনই ব্রাত্যর গাড়ির উপর বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। সেই সময় ব্রাত্যর গাড়ির ধাক্কায় ইন্দ্রানুজ রায় নামে এক ছাত্র আহত হন। এরপর পরিস্থিতি পুরো ঘুরে যায়। ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তোলেন ছাত্রছাত্রীদের। তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *