Javed Akhtar। ‘এমন জানলে আমিও চুল কাটা শিখে বলি স্টারেদের নাপিত হতাম…’

Spread the love

তারকাদের অনর্থক বায়নাক্কা অনেক ক্ষেত্রেই ছবি তৈরির খরচ ভীষণভাবেই বাড়িয়ে তোলে। এর আগে এবিষয়ে সরব হয়েছিলেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। আর এবার এই একই এবিষয়ে সরব হলেন চিত্রনাট্যকার, গীতিকার জাভেদ আখতার। তাঁর কটাক্ষ, মেকআপ আর্টিস্ট থেকে ফিটনেস প্রশিক্ষক, ছবির সেটে কিছু তারকার অহেতুক বায়নার কারণেই ছবি তৈরির খরচ অনেকাংশে বেড়ে যায়।

সম্প্রতি কৌতুকশিল্পী স্বপন বর্মার কমেডি শোয়ে এসে ছবির সেটে সামনে থেকে তারকাদের কাণ্ডকারখানা দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন জাভেদ আখতার। তাঁর কথায়, তারকাদের আজকাল ১৮-১৯ জন কর্মচারীই লাগে। জিমের জন্য একটা ভ্যানিটি ভ্যান লাগে, আবার খাবার তৈরির জন্য কিংবা আরও দুটি ভ্যান দরকার পড়ে। জাভেদ আখতার এবিষয়টিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘উনকা ওহ আদমি জো বাল ঠিক করতা রেহতা হ্যায়, ওর তো দিনপ্রতি ৭৫,০০০ টাকা লাগে। আরে ইয়ার, হুমেন মালুম হোতা তো হাম ওয়াহি কাম চাহতে (তাদের একজন হেয়ার স্টাইলিস্ট (নাপিত) আছে যাঁরা প্রতিদিন ৭৫০০০ টাকা নেয়। আমি যদি এটা আগে জানতাম, তাহলে এই কাজই করতাম) তারকারা হেয়ার স্টাইলিস্টদের যে অত্যধিক পারিশ্রমিক দেন, আমি আগে জানলে সত্যিই হেয়ারস্টাইলিস্ট হতাম।’

পুরানো যুগের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টেনে চিত্রনাট্যকার বলেন তাঁর আগে কখনও এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। জাভেদ আখতারের কথায়, ‘আগে তারকারা অবশ্য ই-রেগুলার এবং শৃঙ্খলাহীন ছিলেন। তাঁরা বেশিরভাগ সময়ই সেটে দেরি করতেন। তবে আগে এত সুযোগ সুবিধা ভোগ করার মতো টাকাও ছিল না।’

সম্প্রতি জাভেদ আখতারকে সেলিম খানের সঙ্গে ডকুমেন্টারি মিনি-সিরিজ ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ দেখা গিয়েছে। এই সিরিজটি খ্যতনামা চিত্রনাট্যকার জুটি সেলিম খান ও জাভেদ আখতারের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। নম্রতা রাও দ্বারা পরিচালিত, সিরিজটি অ্যামাজন প্রাইম দেখা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সেলিম-জাভেদ বলিউডের সবচেয়ে সফল চিত্রনাট্যকার জুটি। তাঁরা ‘শোলে’, ‘জঞ্জির’, ‘দিওয়ার’ সহ বলিউডের বহু ব্লকবাস্টার ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। জাভেদ-সেলিমের চিত্রনাট্যই অমিতাভ বচ্চনকে সুপারস্টার বানিয়েছিল, ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’-এর তকমা দিয়েছিল। বর্তমানে জাভেদ আখতার ভারতের সর্বোচ্চ আয়কারী গীতিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *