Jharkhand Exit Poll 2024। নেটিজেনদের মন বুঝে বুথফেরত সমীক্ষা করল AI

Spread the love

ঝাড়খণ্ড ভোটে কারা এগিয়ে থাকবে তা নিয়ে নানা জনের নানা মত। বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও নানা মতামত দেওয়া হচ্ছে। শেষ হাসি কারা হাসবেন তা নিয়েও নানা মত রয়েছে। এদিকে এআই প্রযুক্তি লাগু করে ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে বুথফেরত সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে কী ইঙ্গিত মিলল তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই। এবার সেটাই দেখে নেওয়া যাক। 

এদিকে এতদিন নানাভাবে বুথফেরত সমীক্ষা করা হত। তবে এবার একেবারে এআই সমীক্ষা। মূলত সোশ্য়াল মিডিয়া যারা ব্যবহার করেন তাদের মনোভাবটা বুঝেই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে এই বুথফেরত সমীক্ষা করা হয়েছে।

৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন ২৩ নভেম্বর ইভিএম থেকে জনগণের রায় বেরিয়ে আসবে। বর্তমানে এক্সিট পোলের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মানুষ ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে বেছে নিয়েছেন নাকি এনডিএ জোটের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।

জি নিউজ- এক্সিট পোল ঝাড়খণ্ডে এনডিএ এবং ‘ভারত’ জোটের মধ্যে ঘনিষ্ঠ লড়াইয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডি জোট পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৪টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৩৬ থেকে ৪১টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারেন ৩টি আসন।

জি নিউজ জানিয়েছে, এআই প্রযুক্তি নিয়ে এই এক্সিট পোল করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের প্রায় ৩-৪ লক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর অনুভূতি পড়ে এই অনুমান করা হয়েছে। চ্যানেলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও ডেটা প্রসেসিংয়ে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন-সহ বহু প্রবীণ নেতার বিশ্বাসযোগ্যতা এবার কার্যত প্রশ্নের মুখে। হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন এবং ভাই বসন্ত সোরেনও তাঁর দিকে নজর রাখছেন। প্রাক্তন সিএম চম্পাই সোরেন এবং বাবুলাল মারান্ডির মতো প্রবীণ নেতাদের ভাগ্যও জনসাধারণের দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে।

২০১৯ সালের বেশি ভোট

দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় ৩৮টি আসনে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৭ শতাংশের বেশি। গত ১৩ নভেম্বর প্রথম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৪৩টি আসনে ৬৬ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ২০১৯ সালে মোট ভোট পড়েছিল ৬৩.৯ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডে এবার শেষ পর্যন্ত ভোটের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *