ইউটিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ঝিলম গুপ্তকে কে না চেনেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসাবে তাঁর জনপ্রিয়তা, পরিচিতিও কিছু কম নয়। সম্প্রতি ফেসবুক ফ্রেন্ডের অশালীন আক্রমণের মুখে পড়তে হল ঝিলমকে। যদিও ঝিলমের নেটপাড়ার অন্যান্য অনুরাগী ও বন্ধুরা তাঁর সমর্থনেই সুর চড়িয়েছেন।
কোনও এক খবরের কাগজে নিখোঁজ এক মানসির ভারসাম্যহীন মহিলার ছবি বের হয়েছিল। তাঁকে খুঁজে দেওয়ার জন্য ছোট্ট বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেই খবরের কাগজের কাট আউট নিয়ে ঝিলমকে মেসেজ করেন তাঁরই ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা কোনও এক মহিলা। যদিও ঝিলম গুপ্তাৃ ওই মহিলার নিরাপত্তার স্বার্থে এবং ভালোর জন্যই তাঁর নাম সামনে আনেননি। পাছে তাঁকে নেটপাড়ার লোকজনের আক্রণের মুখে পড়তে হয়।
খবরের কাগছে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটিকে দেখে ওই মেয়েটির মনে হয়েছিল তাঁকে খানিকটা নাকি ঝিলমের মতোই দেখতে। তিনি তাই কিছুটা ব্যঙ্গ করে তাই ইউটিউবার ঝিলম গুপ্তাকে লেখেন, ‘ও ঝিলম দি পেপারে তোমার মতো দেখলাম। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন (হা হা হাসির ইমোজি) এটা নেওয়া গেল না।’
নিচে ঝিলম তাঁকে উত্তরে লেখেন, ‘এটা দেখে তোমার হাসি পাচ্ছে কেন, মানে আমার মতো দেখতে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে হারিয়ে গেছে। তার পরিবার তাকে খুঁজে পেতে চেয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। সেটা দেখে তুমি হাসছো? There is nothing funny about it grow up’।
মেসেজে কথোপকথনের এই স্ক্রিনশট পোস্ট করে ঝিলম ক্যাপশানে লেখেন, ‘আমার মেসেজটি পড়ার পর এই মেয়েটি সম্ভবত আমার ভিডিয়ো আর কোনদিন দেখবেনা। আমিও চাইনা এরকম মানসিকতার লোকজন আমার সাথে কোনভাবে জুড়ে থাকুক। আপনারা যারা এই পোস্টটি দেখবেন, তাদের কারোর যদি মেয়েটির মতোই বিষয়টি হাস্যকর লাগে, তাহলে দয়া করে আমার সঙ্গ ত্যাগ করবেন। ধন্যবাদ।’
ঝিলমের এই পোস্টে কমেন্ট করেছেন বহু নেটিজেন। বেশিরভাগ লোকজনই অবশ্য ঝিলমের সমর্থনেই সুর চড়িয়েছেন। একজন লেখেন, ‘ওনার নামটা লিখুন। হয়তো আমাদেরও অনেকের friend list-এ আছেন এই বিকৃত মানসিকতা নিয়ে!’ আরও একজন লেখেন, ‘যে তোমাকে মেসেজ করেছে তার সুস্থতা কামনা করছি’। আরও একজন লেখেন, ‘এগুলো আসলে অমানবিকতা নয়, অগভীরতা। মানুষজন ভাবে টাবে না আর কিছু নিয়েই। সারাদিন সব বিষয়েই হ্যা হ্যা প্যা প্যা করে যাচ্ছে’।
কারোর কটাক্ষ, ‘এত অশিক্ষিত মানুষজন বেড়ে গেছে। আর নেওয়া যাচ্ছে না। জেনে বুঝেই অশিক্ষিত শব্দটা নির্বাচন করলাম।’ কারোর কথায়, ‘কাউকে ছোট করে নিচু দেখিয়ে এরা কি আনন্দ পায়।আমার তো মনে হয় ওর চিকিৎসা দরকার’। এমনি অসংখ্যা মন্তব্য উঠে এসেছে।