প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে বাইডেন সরে দাঁড়ালে তার বিকল্প হিসেবে প্রথম পছন্দের তালিকায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। এ বিষয়টি নিয়ে এখন হোয়াইট হাউজ ও ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির মধ্যে জোর আলোচনা চলছে বলে নিশ্চিত করেছে বাইডেনের প্রচারণা-সংক্রান্ত সাতটি সূত্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনের বিতর্কে বিভ্রান্তিকর, অসংলগ্ন পারফরম্যান্সের পর দলের নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে যে আরও চার বছরের জন্য বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য কি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, কয়েকজন প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট নেতা হ্যারিস ছাড়াও বাইডেনের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ক্যালিফোর্নিয়ার গ্যাভিন নিউজম, মিশিগানের গ্রেচেন হুইটমার এবং পেনসিলভানিয়ার জোশ শাপিরোর মতো ডেমোক্র্যাটিক গভর্নরের কথা বলেছেন। তবে হ্যারিসকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কাল্পনিক এবং এটি প্রায় অসম্ভব বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্রগুলো।
উপরন্তু তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং পরীক্ষিত একজন নেতা। মার্কিন প্রতিনিধি জিম ক্লাইবার্ন, যিনি বাইডেনের ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ের মূল চাবিকাঠি ছিলেন, তিনি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এমএসএনবিসিকে জানিয়েছেন বাইডেন সরে গেলে তিনি হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রার্থী হতে সমর্থন করবেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক কৌশলবিদ মাইকেল ট্রুজিলো বলেছেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্টের বাইরে মনোনয়ন জেতা প্রায় অসম্ভব। তিনি ২০০৮ এবং ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারে কাজ করেছিলেন।’
এদিকে হ্যারিসের সহযোগীরা যেখানে বাইডেন ও কামালা হ্যারিস একসঙ্গে থাকবেন না তেমন কোনো আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। হ্যারিসের অফিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাইডেনের সঙ্গে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন কামালা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রকাশিত রয়টার্স/ইপসোস-এর জরিপে দেখা গেছে, হ্যারিস এক শতাংশ ভোটে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন। ট্রাম্পের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪২ শতাংশ, অন্যদিকে ৪৩ শতাংশ ভোটার হ্যারিসকে ভোট দিয়েছেন।