Junior Doctor Asfakulla Naiya Result। আসফাকুল্লাই পরীক্ষায় পাস করে তোপ দাগলেন কাকে?

Spread the love

পিজিটি হয়েও ইএনটি-র সার্জেন পরিচয় দিয়ে চেম্বার করছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ আসফাকুল্লা নাইয়ার(Asfakulla Naiya) বিরুদ্ধে। এর জেরে তাঁকে শোকজের নোটিশ ধরিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এহেন আসফাকুল্লা এবার পরীক্ষায় পাস করেছেন। আর পাস করেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করে আসফাকুল্লা লেখেন, ‘মাথা উঁচু করে থাকতে হলে ঘাড় ঘোরাতে লাগে না।’ এরই সঙ্গে নিজের রেজাল্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। এর আগে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের পরীক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, মেডিক্যাল এক্সামিনেশনে (পরীক্ষা) যাতে কোনওরকম কেউ এদিকে-ওদিকে ঘাড় ঘোরাতে না পারেন। তারা যেন সঠিকভাবে পড়াশোনা করেন। সঠিকভাবে পরীক্ষা দিতে পারেন।’ 

উল্লেখ্য, আরজি করে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ সামনে আসতেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। এই আবহে দীর্ঘদিন সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চলে জুনিয়র চিকিৎসকদের। তবে উলটো দিকে অভিযোগ উঠেছিল, কর্মবিরতিতে থাকা বহু চিকিৎসক সেই সময় চুটিয়ে নিজেদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে গিয়েছেন। এই সবের মাঝে আবার অন্য বিতর্কে জড়ান আসফাকুল্লা। প্রথম বর্ষের ট্রেনি হয়েও ‘বিশেষজ্ঞ’ ডাক্তার লিখে বেসরকারি জায়গায় তিনি চিকিৎসা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও আসফাকুল্লা দাবি করেন, তিনি বিনামূল্যেই বেসরকারি জায়গায় চিকিৎসা করতেন। এমনকী তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি একটাও টাকা নিতেন, তাহলে ডাক্তারি ছেড়ে দেবেন।

এর আগে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ‘বিরোধী’ সংগঠন জুনিয়র ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের শ্রীশ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন, হুগলির সিঙ্গুরের একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্র্যাকটিস করতেন আসফাকুল্লা। চিকিৎসকদের যে তালিকা ছিল, তাতে তাঁর নামের পাশে ‘নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ’ লেখা ছিল। অথচ ২০২২ সালেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ট্রেনি হিসেবে আসফাকুল্লা যোগ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন শ্রীশ। এই আবহে প্রশ্ন ওঠে, প্রথম বর্ষের ট্রেনি হয়ে কীভাবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা করতে পারেন আসফাকুল্লা? পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে সেটা মোটেও করা যায় না। কিন্তু সেটাই নাকি করেছিলেন আসফাকুল্লা। এবং তা হয়ে থাকলে সেটা ডিগ্রি জালিয়াতির সামিল। এদিকে নিয়ম অনুসারে, পিজিটি থাকাকালীন কোনও চিকিৎসকই অন্য কোনও বেসরকারি জায়গায় প্র্যাকটিস করতে পারেন না। যদি কেউ তেমনটা করেন, তাহলে তা বেআইনি বলে গণ্য করা হবে। এই আবহে আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল মেডিক্য়াল কমিশনকে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠায় ‘বিরোধী’ অ্য়াসোসিয়েশন। এহেন পরিস্থিতিতে আসফাকুল্লা নাইয়াকে শোকজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তবে এত বিতর্কের মাঝেও নিজের লক্ষ্যে অটল থেকে পরীক্ষায় পাস করলেন আসফাকুল্লা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *