Junior Doctor Hunger Strike। ‘আমি দিদি হয়ে বলছি, কাজে যোগ দিন’ 

Spread the love

জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে গেলেন স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিব। মুখ্য়মন্ত্রীর বার্তা নিয়েই আসেন তাঁরা।প্রথমত অনশন তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও তাঁরা অনুরোধ করেন। মূলত যাবতীয় অচলাবস্থা কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য় সবরকম উদ্যোগ নিলেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও অনশনমঞ্চে আসেন। এরপর মুখ্যসচিব ফোনে কারোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বলে কথা। বার বার তিনি ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।  

এরপর ফোনে বার্তা দেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মোবাইলটি মাইকের সামনে রাখেন মুখ্যসচিব। সেখানে শোনা যায় মমতা বলছেন, স্টুডেন্ট ভাইবোনেদের বলছি, এই অনশন থেকে বেরিয়ে আসুন। পাঁচটা দাবির মধ্যে চারটি দাবি পূরণ করেছি। একটা ডিপার্টমেন্ট থেকে সবাইকে সরিয়ে দিলে ডিপার্টমেন্টটা চলতে পারে না। তিনি ফোনে বলেন, আপনাদের পরীক্ষারও ক্ষতি হচ্ছে। আমি দিদি হয়ে বলছি, আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনও মতবিরোধ নেই। আপনারা দয়া করে কাজে যোগ দিন…অনশন তুলে নিন…

  ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা। সরকারের একাংশের দাবি, আন্দোলনকারীদের অন্তত সাতটি দাবি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনশনকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন তাঁরা। পুলিশের শীর্ষকর্তারাও রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। এদিকে মঙ্গলবারের মধ্য়ে সদর্থক পদক্ষেপের দিকে সরকার না হাঁটলে চিকিৎসকরা ধর্মঘটের দিকে যেতে পারেন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তার আগেই মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব দ্রুত অনশনমঞ্চে উপস্থিত হয়ে যান। 

মূলত আন্দোলনের রাস্তা থেকে, ধর্মঘটের রাস্তা থেকে যাতে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা তার সবরকম চেষ্টা করছেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী বার বার কথা বলেন অনশনকারীদের সঙ্গে। 

এদিকে সোমবারের মধ্য়ে দাবি না মিটলে মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘটের রাস্তায় যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে প্রশাসনের একেবারে শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত হয়ে যান ধর্নামঞ্চে।

এবার প্রশ্ন তবে কি এবার সমাধানসূত্র মিলবে? জটিলতা কেটে যাবে? নানা জল্পনা ছড়িয়েছে এই বৈঠককে ঘিরে। 

এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা আগেই জানিয়েছিলেন, ‘‌জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্সদের সংগঠনগুলির কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, একটা সমাবেশ হোক। সেখান থেকে আমাদের চিৎকার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছক। সোমবার অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি নিচ্ছি। তবে সোমবার পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা দিচ্ছি। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের সব দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে। আশা করি মঙ্গলবার যে কর্মসূচির কথা বলছি তা আমাদের নিতে হবে না।’‌

তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্য়সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি। এর আগেই জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেছিলেন, ‘সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাদের দাবি না মানেন তবে মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবো। মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের সব দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে। সব কটি দাবি মেনে নিতে হবে। যদি তা নয় তবে আগামী মঙ্গলবার সমস্ত সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাধিক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবো।’‌

শনিবার এদিনের বৈঠকে দেবাশিস হালদার সহ অন্যান্যরা ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *