Junior Doctors Strike । রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

Spread the love

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর এখন ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে আগামী সোমবারের মধ্যে দাবিপূরণ না হলে পরেরদিন মঙ্গলবার থেকে সর্বাঙ্গীণ ধর্মঘটের ডাক দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ধর্মঘটের আওতায় থাকবে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আজ, শুক্রবার সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কথা জানান জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার(Debashis Halder)।

ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের জন্যও বিশেষ কাজ চলছে। সেটা আরও আগে শেষ করতে হবে। রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘রাত্রিরের সাথী’ অথবা নিরাপত্তার কাজ, রেস্টরুমের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে আগামী ২৫ অক্টোবর তারিখের মধ্যে। আরজি কর হাসপাতালের কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় ৩১ অক্টোবর তারিখের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‌জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্সদের সংগঠনগুলির কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, একটা সমাবেশ হোক। সেখান থেকে আমাদের চিৎকার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছক। সোমবার অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি নিচ্ছি। তবে সোমবার পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা দিচ্ছি। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের সব দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে। আশা করি মঙ্গলবার যে কর্মসূচির কথা বলছি তা আমাদের নিতে হবে না।’‌

ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তার কাজ কেমন হচ্ছে?‌ কতদূর হয়েছে?‌ এইসব প্রশ্নের উত্তর গতকাল নিজের বাসভবনে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তার জবাব দেন মুখ্যসচিব। তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজের গতি বাড়াতে নির্দেশ দেন। তাই আজ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাদের দাবি না মানেন তবে মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবো। মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের সব দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে। সব কটি দাবি মেনে নিতে হবে। যদি তা নয় তবে আগামী মঙ্গলবার সমস্ত সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বাধিক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবো।’‌

জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পাঁচটি দাবি করেছিলেন। যার মধ্যে চারটি সঙ্গে সঙ্গে পূরণ হয়। তারপর আবার ১০টি দাবি তোলেন তাঁরা। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, সাতটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটির ক্ষেত্রে সময় লাগবে। দেবাশিস হালদারের বক্তব্য, ‘‌এই কর্মসূচির সময় কারও প্রাণহানি হলে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। গত ১৩ দিন ধরে আমাদের সহকর্মীরা অনশন করছেন। মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত। এখন মানবিক মুখ্যমন্ত্রীকে দরকার ছিল। এরপরও যদি কোনও ইতিবাচক উত্তর আমাদের কাছে না আসে তাহলে মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘট হবে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *