Justice for Jadavpur। যাদবপুরের সমস্যা মিটবে কীভাবে? 

Spread the love

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ। এরপর সেই গাড়িতে এক ছাত্র আহত হয়েছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে। আহত সেই ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায় বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন কেপিসি হাসপাতালে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই যাদবপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ইন্দ্রানুজের বাবা। ফের সংবাদ মাধ্য়মে মুখ খুললেন তিনি।

ইন্দ্রানুজের বাবা সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, আলাপ আলোচনা করতে হবে। আলাপ আলোচনা না করলে অস্থির অবস্থার দিকে চলে যাবে ছাত্রছাত্রীরা। যে ব্যাপারটির উপর জোর দিতে চাইছি সেটা হল আলাপ আলোচনার উপর। একটা ঘটনা ঘটে গেলে সেই ঘটনাকে স্বাভাবিক করার জন্য আলাপ আলোচনা ছাড়া কোনওভাবেই এই ঘটনাকে স্বাভাবিক করা যাবে না। আইনের পথে গেলেই কি দ্রুত সমাধানের রাস্তা বের হবে? আলাপ আলোচনা করতে হবে। জানিয়েছেন ইন্দ্রানুজের বাবা। কার্যত যাদবপুরের সমস্যা মেটাতে দিশা দেখিয়েছেন তিনি। আলাপ আলোচনার মাধ্য়মে সমস্যা মেটানোর কথা বলেছেন তিনি।

কার্যত আলাপ আলোচনার উপর প্রথম থেকেই জোর দিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত এর আগে নাগরিক মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন ইন্দ্রানুজের বাবা। সেদিনও তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ছাত্রদের দাবি অত্যন্ত জরুরী দাবি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ শিক্ষার ক্ষেত্রে জড়িত যে দাবি সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক পথে এই দাবি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হোক। তিনি জানিয়েছেন, ভিসি, প্রোভিসি যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা। যত দ্রুত আলোচনার দরজা খোলা যাবে ততই জটিলতা কাটবে। যে কোনও বিষয় আলোচনার মাধ্যমে জট কাটবে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হোক।

এদিকে সোমবার পর্যন্ত কার্যত আলোচনায় বসার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে আরজিকর কাণ্ড থেকে যাদবপুর কাণ্ড। এই দুইয়ের প্রতিবাদে ফের রাস্তায় নামল নাগরিক সমাজ। হাজরা থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত দীর্ঘ মিছিল করেন তারা। বহু চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন সেই মিছিলে। তাঁদের দাবি, আরজি করের ঘটনার বিচার মেলেনি। যাদবপুরের ঘটনাও মেনে নেওয়া যায় না।

নাগরিক সমাজের দাবি, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার তলায় পিষ্ট হবেন কোনও ছাত্র এটা মেনে নেওয়া যায় না। এদিন প্রতিবাদকারীদের ব্যানারে পোস্টারে সেই বার্তাটাই তুলে ধরা হয়েছিল।

সূত্রের খবর, যাদবপুরের ঘটনায় এবার শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চালকের সঙ্গেও কথা বলল পুলিশ। এবার গোটা ঘটনার তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয় সেটাও দেখার। ফের রাজপথে উঠল স্লোগান, জাস্টিস ফর আরজিকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *