Kasba Lathi Charge। কসবা কাণ্ডে তদন্ত করবেন না শিক্ষককে লাথি মারা SI! দায়িত্ব পেলেন অন্য অফিসার

Spread the love

কসবা ডিআই অফিসে আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও অশিক্ষক কর্মচারীদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনায় তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিককে বদলে দেওয়া হল। শুক্রবারই এই বদলের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে সামনে আসে।

কিন্তু, কেন এই সিদ্ধান্ত? ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গত বুধবার কসবার ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখান এসএসসি-র ২০১৬ সালের বাতিল হয়ে যাওয়া প্যানেলের অধীনে চাকরি পাওয়া এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বর্তমানে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। সেই সময় তাঁদের উপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে, দাবি করা হচ্ছে – বিক্ষোভকারীরা তালা ভেঙে ডিআই অফিসের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই ঘটনায় ডিআই নিজে একটি এফআইআর দায়ের করে। সেই নথিভুক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় স্থানীয় কসবা থানার এসআই রিটন দাসের উপর।

এদিকে, গত বুধবারের (৯ এপ্রিল, ২০২৫) পর থেকে এই রিটন দাসকে নিয়েই সর্বত্র আলোচনা, বলা ভালো – সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, এসআই রিটন দাস হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ওই দিনই চাকরিহারাদের আন্দোলন চলাকালীন এক শিক্ষকের পেটে লাথি মারেন! যার জেরে রীতিমতো প্রশ্নের মুখ পড়তে হয় পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনকে।

এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (১১ এপ্রিল, ২০২৫) সকালে জানা যায়, এই রিটন দাসই নাকি কসবার ঘটনার তদন্তকারী অফিসার! স্বাভাবিকভাবেই ‘লাথি’ কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকই কীভাবে সেদিনের ঘটনার আইও হলেন, তা নিয়ে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এরই মধ্য়ে জানা গেল, রিটন দাসকে প্রথমে কসবা কাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হলেও, পরে তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বদলে তদন্তকারী আধিকারিক বা আইও হিসাবে নিযুক্ত করা হয় কসবা থানারই অন্য এক এসআই সঞ্জয় সিংকে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার যখন ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ চলছে, সেই সময় কর্তব্যরত আধিকারিকও নাকি এই রিটন দাসই ছিলেন। অর্থাৎ – তিনি দায়িত্বে থাকাকালীনই যাবতীয় ঘটনা ঘটে। সূত্রের দাবি, এক্ষেত্রে নিয়ম অনুসারে, দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিককেই কোনও ঘটনার আইও হিসাবে সাধারণত নিয়োগ করে না লালবাজার। কিন্তু, এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে অন্তত তেমনটাই করা হয়েছিল। কেন সেটা করা হল, সেই প্রশ্নের উত্তর আপাতত অধরা।

অন্যদিকে, কসবায় আন্দোলনরত শিক্ষককে লাথি মারার ঘটনায় আলাদা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তবে, লাথি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত অন্তত অভিযুক্ত এসআই রিটন দাসের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *