সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ এবং গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুন্ড সাহিব- উত্তরাখণ্ডে জোড়া রোপওয়ে প্রকল্পে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুটি প্রকল্পের জন্য মোট ৬,৮১১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত রোপওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ১২.৯ কিলোমিটার। আর গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুন্ড সাহিবের দৈর্ঘ্য মোটামুটি ১২.৪ কিমি হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। তাঁর আশ্বাস, আগামী ছয় বছরের মধ্যে দুটি প্রকল্পই শেষ হয়ে যাবে।
কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
১) উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে ভূপৃষ্ঠের ১১,৯৬৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির। আপাতত সোনপ্রয়াগ থেকে ২১ কিমি পথ পেরিয়ে কেদারনাথে পৌঁছাতে হয়। সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত পাঁচ কিমি রাস্তা আছে। গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১৬ কিমি ট্রেক করতে হয়। নয়া প্রকল্প অনুযায়ী, ওই পুরো রাস্তাটা রোপওয়ে করে যাওয়া যাবে।
২) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগে যে পথটা যেতে আট থেকে নয় ঘণ্টা লাগত, রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে সেটা যেতে মোটে ৩৬ মিনিট লাগবে।
৩) ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ ন্যাশনাল হাইওয়েজ লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে সেই রোপওয়ে প্রকল্পের কাজ চলবে।
৪) পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টায় ১,৮০০ জন যাতায়াত করতে পারবেন।
৫) তিনটি জায়গায় দাঁড়াবে – সোনপ্রয়াগ, গৌরীকুণ্ড এবং কেদারনাথ।
৬) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন বছরে মাসদুয়েক কেদারনাথে যাওয়া যায়। রোপওয়ে চালু হয়ে গেলে সেটা ছয় মাস হয়ে যাবে।
হেমকুন্ড সাহিব রোপওয়ে প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
১) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, গোবিন্দঘাট থেকে একটি রাস্তা বদ্রীনাথের দিকে যায়। একটি রাস্তা দিয়ে আবার হেমকুন্ড সাহিবের দিকে যেতে পারেন। গোবিন্দঘাট থেকে অনেকটা রাস্তা ট্রেকিং করে হেমকুন্ড সাহিবে পৌঁছাতে হয়। এবার গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুন্ড সাহিব পর্যন্ত রোপওয়ে প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২) আপাতত গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুন্ড সাহিব যেতে ২১ কিমি রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। রোপওয়ে চালু হয়ে গেলে ৪২ মিনিটেই সেই রাস্তা অতিক্রম করা যাবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
৩) দুটি সেকশন আছে – গোবিন্দঘাট থেকে গাঙ্ঘারিয়া (১০.৫৫ কিমি) এবং গাঙ্ঘারিয়া থেকে হেমকুন্ড সাহিব (১.৮৫ কিমি)।
৪) তিনটি স্টেশন থাকবে – গোবিন্দঘাট, গাঙ্ঘারিয়া এবং হেমকুন্ড সাহিব।