Kinjal Nanda Wife। আরজি কর নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি এরকম ‘ভয়াবহ’ কেন?

Spread the love

মহালয়ার সকালে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে উন্মোচিত হয় আরজি করের নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা চালাকীলনই চিকিৎসকরা ঘোষণা করেছিলেন যে আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার স্মরণে একটি প্রতীকী মূর্তি বসানো হবে। তবে মূর্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মুনির নানা মত। কারও মতে, কেন এত ‘ভয়াবহ’ বাননো হল সেটিকে?

বলে রাখা ভালো, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরের প্ল্যাটিনাম জুবিলি হলের সামনের ফাঁকা জায়গায় ওই প্রতীকী মূর্তি বসানো হয়েছে। যার চোখে-মুখে যন্ত্রণার চিহ্ন স্পষ্ট। ৩১ বছরের ডাক্তার তরুণীর মেয়ের মুখের সঙ্গে কোনো মিল রাখা হয়নি। জানা যাচ্ছে, ভাস্কর অসিত সাঁই বিনা পারিশ্রমিকে ফাইবার গ্লাসের এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন।

কিঞ্জল নন্দের স্ত্রী, যিনি পেশায় একজন গাইনোকলজিস্ট, তিনি কিছু ছবি শেয়ার করে ‘ভয়াবহ কেন’, সেই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন। নম্রতা ভট্টাচার্য লিখলেন, ‘ঘটনাটি সুন্দর ছিল না..ঠিক উল্টো..তাই সেভাবেই মনে রাখা উচিত..’। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেই প্রতীকী মূর্তির পায়ে ফুল দিচ্ছেন কিঞ্জল।

জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের ‘মুখ’ হিসেবে বারবার সমালোচিত হচ্ছেন কিঞ্জল। তিনি যেমন একাধারে চিকিৎসক, তেমনই টলিউডের নামী অভিনেতাও। নানা রকমের ব্যক্তিগত আক্রমণ চলছে বর্তমানে কিঞ্জলকে ঘিরে। এমনকী, টাকা দিয়ে প্রাইভেটে ডাক্তারি পড়েছেন, এমন অভিযোগও করা হয়। যার পরে মুখ খোলেন তিনি। 

কিঞ্জল লেখেন, ‘যে বছর আমি পরীক্ষা দিই সেইবছর আমাদের ওয়েস্ট বেঙ্গলে টোটাল সিট ছিল বোধ হয় ৯০০ র কাছাকাছি। তখন এত মেডিক্যাল কলেজ হয়নি। আমি ব়্যাঙ্ক করেছিলাম ৮৫৯ (জেনারেল ক্যাটেগরি), কিছুটা শেষের দিকে, জেলার কিছু গভর্নমেন্ট কলেজে চান্স পাচ্ছিলাম, শেষের দিকে। কিন্তু যেহেতু বাবা-মা একা থাকেন, আমি বাইরে যেতে চাইনি। বরাবরই আমি ঘরকুনো। তারপর কাউন্সেলিংয়ে আমি KPCতে পাই। তখন KPC-তে গভর্নমেন্টের ৫০টা সিট ছিল। তার মধ্যে আমি প্রবেশ করি।’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল তাঁর পড়াশোনায়। যা তিনি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়েছিলেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *