KKR-এর অবহেলা নিয়ে অভিমানী শ্রেয়স

Spread the love

কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন, যাঁদের নিয়ে খুব বেশি চর্চা হয়। আলোচনার কেন্দ্র থাকেন তাঁরা। আবার এমন কিছু প্লেয়ার রয়েছেন, যাঁরা মুখ বন্ধ করে নিজেদের কাজটা করে যান। তবে আলোচনার কেন্দ্রে ঢুকতে পারেন না। শ্রেয়স আইয়ার এই দ্বিতীয় শ্রেণীর একজন খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ বিরাট কোহলি(Virat Kohli)-রোহিত শর্মাদের(Rohit Sharma) মতো বড় নামগুলি নিয়ে যেমন চর্চা হয়েছে, শ্রেয়সকে নিয়ে তাঁর এক ভাগও আলোচনা হয়নি। তবে ব্যাট হাতে কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করেই চলেছেন শ্রেয়স। তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। রোহিত শর্মা তাঁকে ‘সাইলেন্ট হিরো’র তকমা দিয়েছেন।

গত এক বছর শ্রেয়স যেন রোলার-কোস্টারের উপর বসেছিলেন। অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে তাঁর জীবনে। কেন্দ্রীয় চুক্তি হারানো থেকে শুরু করে ভারতীয় ক্রিকেটে কোণঠাঁসা হয়ে পড়া, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো, কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা, এর পর ভারতীয় দলে ধীরে ধীরে নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করে নজর কাড়া- এই সফর শ্রেয়সের জন্য কিন্তু সহজ ছিল না। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শ্রেয়স বলছেন, ‘সত্যি বলতে এটা একটা যাত্রা এবং আমি আমার জীবনের এই পর্যায়ে অনেক কিছু শিখেছি।’ সেই সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে যোগ্য সম্মান না দেওয়ার ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন শ্রেয়স।

গত মরশুমে কেকেআর শ্রেয়সের নেতৃত্বেই তৃতীয় বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তা সত্ত্বেও, শ্রেয়সকে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ধরে রাখেনি। যাইহোক, পঞ্জাব কিংস এবারের মেগা নিলামে শ্রেয়সকে ২৬.৭৫ কোটি টাকায় কিনে নিয়েছে। এবং এই মরশুমে শ্রেয়স পঞ্জাবকে নেতৃত্ব দেবে। এদিকে কেকেআর প্রসঙ্গে শ্রেয়স দাবি করেছেন যে, তাঁর প্রচেষ্টা কখনও কখনও স্বীকৃত হয় না এবং অলক্ষিতই থেকে যায়।

শ্রেয়স কিছুটা অভিমানের সুরে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়েছে যে, আইপিএল জেতার পরে আমি যে স্বীকৃতি পেতে চেয়েছিলাম, তা পাইনি। কিন্তু দিনের শেষে, যতক্ষণ আপনি নিজের প্রতি সৎ থাকছেন এবং কেউ লক্ষ্য করুক, বা না করুক, আমার সঠিক পথে এগিয়ে চলাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি যা করতে থাকি।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর রোহিত আলাদা করে শ্রেয়সের প্রশংসা করেছেন, ‘সাইলেন্ট হিরো’ বলেছেন তাঁকে। অধিনায়কের প্রশংসায় শ্রেয়স খুশি হলেও, কেকেআর-এর অবহেলাটা ভুলতে পারেননি। তাই এই প্রসঙ্গেও তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন স্বীকৃতির কথা বলি, তখন সেটা সম্মান পাওয়ার কথাই বলে থাকি। আমি মাঠে যা কিছু চেষ্টা করি বা করছি, তার জন্য এটি (রোহিতের প্রশংসা) ছিল সম্মানের বিষয়। আমি মনে করি, কখনও কখনও এটি অলক্ষিত থেকে যায়, কিন্তু আমি যে প্রচেষ্টা চালিয়েছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *