Kohli on family presence in tours। অনুষ্কাদের নিয়ে BCCI-র ফতোয়ায় ‘উষ্মা’ প্রকাশ বিরাটের

Spread the love

পরিবার নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের ফতোয়ায় উষ্মাপ্রকাশ করলেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)? এমনই প্রশ্ন উঠেছে তাঁর মন্তব্যের পরে। আসলে শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) ইনোভেশন ল্যাব ইন্ডিয়ান স্পোর্টস সামিটের মঞ্চ থেকে ভারতীয় দলের বিদেশ সফরে পরিবার থাকার পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি দাবি করেন যে বিদেশ সফরের সময় খেলোয়াড়দের পাশে পরিবার থাকার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কঠিন সফরের সময় পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকলে খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে ভালো জায়গায় থাকেন। কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেন।

সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সামিটে বিরাটকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে কঠিন বিদেশ সফরের সময় তাঁর পরিবার কী ভূমিকা পালন করে। সেটার প্রেক্ষিতে বিরাট জানান, যখনই পরিস্থিতি কঠিন নয়, বাইরে কিছু একটা ঘটে, তখন পরিবারের লোকজনের কাছে ফিরে আসার ব্যাপারটা যে কতটা শান্তিদায়ক, সেটা কাউকে বোঝানো খুব কঠিন।

পরিবারের হাতে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না, সাফ কথা বিরাটের

ওই প্রতিবেদনে বিরাটকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে, ‘আমার মনে হয় না, মানুষ বুঝতে পারেন যে এই ব্যাপারটা কতটা মূল্যবান বা গুরুত্বপূর্ণ। আমার বেশ হতাশ লাগে, যখন পরিবারকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু করে তোলা হয়। কারণ (মাঠে) যা হচ্ছে, সেটার কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না ওদের হাতে। কিন্তু তাদেরই সামনে তুলে আনা হচ্ছে। (বলা হচ্ছে,) ও ওদের দূরে রাখতে হতে পারে।’

সেই কথা বললেও ভারতীয় বোর্ডের নাম করেননি বিরাট। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ঘুরিয়ে বোর্ডের ফতোয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভারতীয় তারকা। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় ১-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারের পরে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে বোর্ডের তরফে জানানো হয়, ৪৫ দিনের বেশি বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা ১৪ দিনের বেশি থাকতে পারবেন না খেলোয়াড়দের সঙ্গে। তার থেকে কম দিনের সফরের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহের বেশি থাকতে পারবেন পরিবারের সদস্যরা।

‘রুমে ফিরে গোমড়া মুখে বসে থাকতে চাই না’

সেই ফতোয়া জারির পরে বিদেশ সফর বলতে দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যান বিরাটরা। কয়েকটি ম্যাচ দেখতে যান স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাও। সেখান থেকে ট্রফি জিতে ফেরার পরে আরসিবির সামিটে বিরাট বলেন, ‘আপনি যদি কোনও খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি পুরো সময়টা পাশে পরিবারকে দেখতে চান? তখন আপনার মনে হবে যে হ্যাঁ। আমি নিজের রুমে ফিরে এসে একা-একা বসে গোমড়া মুখে বসে থাকতে চাই না।’

পরিবার স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করে, দাবি বিরাটের

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিরাট আরও বলেন যে ‘আমি নিজে স্বাভাবিক থাকতে চাই। তবেই আপনি আপনার খেলাকে দায়িত্ববোধ হিসেবে বিবেচনা করতে পারবেন। আপনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। আর নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যান।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনার জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আর পরিবার আপনাকে একেবারে স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *