পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দাও! ওই তালাটা ভেঙে দাও!এমনটাও বলা হয়েছিল চাকরিহারা শিক্ষক আন্দোলনে। কসবার ঘটনার ভিডিয়ো দেখিয়ে দাবি করলেন পুলিশকর্তা।
পুলিশের দাবি, ১৩জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। সার্জেন্ট তন্ময় মণ্ডল তাঁকে রুবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পায়ে প্লাস্টার হয়েছিল। এসআই রিটন দাসের বুকে আঘাতের দাগ রয়েছে। মেডিক্যাল করানো হয়েছে। কেবলমাত্র চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্য়ে কিছু বহিরাগত ছিলেন। সেটা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে।
পুলিশ কি লাথি মারতে পারে শিক্ষককে?
পুলিশের দাবি, এনিয়ে তদন্ত হচ্ছে। পুলিশের যেখানে ফোর্স ব্যবহার করা হয় সেখানেই তদন্ত করে দেখা হয়।
তবে কলকাতা পুলিশের তরফে একেবারে সময় ধরে ভিডিয়ো দেখিয়ে দাবি করা হয়, শিক্ষকরা পরপর দুটি ব্যারিকেড ভেঙেছিলেন। গেট ধরে ওঠার চেষ্টা করেন। মহিলা পুলিশকর্মীর হাতের উপর পা দিয়ে ওঠা হয়। এমনকী তালা ভেঙে দাও, পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দাও। এমন কথাও বলা হয়। পুলিশের উপর নিগ্রহ করা হয়। এরপর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে মৃদু বলপ্রয়োগ করে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, এটা ছিল শিক্ষকদের কর্মসূচি। কেউ প্রত্য়াশা করেনি যে শিক্ষকরা ওখানে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাবেন। তালা লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু তালা লাগানো হয়নি। তালা ভাঙা আর তালা লাগানো দুটি বিষয়ের মধ্য়ে পার্থক্য রয়েছে। ভিডিয়ো দেখে বোঝা যাচ্ছে ১০-১৫জন পুলিশকর্মী ছিলেন। পরে আরও ফোর্স ছিল। টিচাররা পুলিশকে মারবে এটা প্রত্যাশার মধ্য়ে ছিল না। আমাদের পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ১৪দিন বেডরেস্টে থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত যে অফিসারের কথা বলা হচ্ছে তার চশমা ভাঙা হয়েছে, তার বুকে আঘাত লেগেছে, তার কানে আঘাত লেগেছে। পুলিশ কমিশনার জানিয়ে দেন, শিক্ষকরা ওখানে গিয়ে এসব করবেন এটা প্রত্য়াশিত ছিল না।
তিনি বলেন, পুলিশকে বলা হচ্ছে গুণ্ডা, কিন্তু যারা পুলিশকে মারলেন তাদের বিরুদ্ধে একটা শব্দও বলা হচ্ছে না। তবে কীভাবে ধৈর্য্য ধরে পুলিশকে কাজ করতে হবে সেটা আগেই বলা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে এটা বলা হয়। আরজি করের পরে আরও বেশি করে বলা হয়েছে। পুলিশের ভুল হতেই পারে। সেটা দেখা হয়।
বহিরাগত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে কর্মসূচির খবর ছিল যে তালা লাগানোর কর্মসূচি ছিল। পরে আমরা জানতে পারি যে বাইরের লোকেরা ছিল। তদন্তে আমরা চিহ্নিত করেছি।
এবার প্রশ্ন, কাউকে গ্রেফতার করা হল না?
পুলিশ কমিশনার বলেন, এটা তদন্তের অংশ। দেখা হচ্ছে।